প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব মানে টেনে তোলাই ঘোষিত লক্ষ্য। কিন্তু উন্নয়নের পথে ঠিক কতটা এগোতে পেরেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়? কর্তৃপক্ষের কাছে সেই অগ্রগতি সম্পর্কে বৃহস্পতিবার সেই বিষয়েই খোঁজখবর নিলেন নবগঠিত মেন্টর গ্রুপের সদস্যেরা। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো কেমন, গবেষণার সুযোগ-সুবিধা কতটা ইত্যাদি প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছে বলে প্রেসিডেন্সির একটি সূত্রের খবর।
যদিও বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ বা মেন্টর গ্রুপের কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি। প্রেসিডেন্সির নবগঠিত মেন্টর গ্রুপের প্রথম বৈঠক ছিল এ দিন। মেন্টর গ্রুপের শেষ বৈঠক হয়েছিল প্রায় দু’বছর আগে। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে নেতাজি ভবনে বৈঠকে বসেন মেন্টর গ্রুপের সদস্যেরা। ওই উপদেষ্টা মণ্ডলীর সূচনা পর্ব থেকেই তার শীর্ষে আছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক তথা তৃণমূল সাংসদ সুগত বসু। নতুন মেন্টর গ্রুপের চেয়ারম্যান তিনিই। অন্য সদস্যেরা হলেন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাণিবিদ্যার শিক্ষক হিমাদ্রি পাকড়াশি, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক নয়নজ্যোত লাহিড়ী, আইআইএম কলকাতার শিক্ষক রাহুল মুখোপাধ্যায় এবং হায়দরাবাদের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডোরাইরজন বালসুব্রহ্মণ্যম। মেন্টর বা উপদেষ্টাদের উপদেশক হিসেবে আছেন অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।
লোকচক্ষুর আড়ালে, নিভৃতে আলোচনা চেয়েছিলেন সুগতবাবু। এ দিনের বৈঠকে মেন্টর গ্রুপের সদস্যদের প্রায় সকলেই উপস্থিত ছিলেন। হিমাদ্রিবাবু সশরীর হাজির না-থাকলেও ‘স্কাইপে’-র মাধ্যমে তিনি আলোচনায় যুক্ত ছিলেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর।
কী হল এ দিনের বৈঠকে?
প্রেসিডেন্সি সূত্রের খবর, উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া তো বটেই, সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিশিষ্ট অধ্যাপক বা ডিস্টিংগুইশ্ড প্রফেসর সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও স্বপন চক্রবর্তীকে মেন্টর গ্রুপের এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অল্প সময়ের জন্য তাঁরা বৈঠকে ছিলেন। সেই সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সব্যসাচীবাবু ও স্বপনবাবু এক সময় মেন্টর গ্রুপেও ছিলেন।
প্রায় অর্ধেক শিক্ষক-পদ খালি থাকা সত্ত্বেও সেগুলি পূরণের ব্যাপারে এ দিন অনুরাধাদেবীর সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। পরে অবশ্য শিক্ষক বাছাইয়ের পদ্ধতি-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে প্রেসিডেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছে। বৈঠক চলে রাত পর্যন্ত।
বৈঠক নিয়ে কিছুই বলতে চাননি সুগতবাবু। আজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গভর্নিং বোর্ডের বৈঠকের পরে তিনি মুখ খুলবেন বলে জানিয়েছেন।