আবার কলকাতা মেট্রোর ব্লু লাইনে পরিষেবা ব্যাহত। — ফাইল চিত্র।
আবার ব্লু লাইনে (দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম) মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত। জানা গিয়েছে, দমদম স্টেশনে সিগন্যালের সমস্যা হয়। তার ফলে সাময়িক ভাবে দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্কের মধ্যে মেট্রো চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। আপ এবং ডাউন দু’লাইনেই পরিষেবা থমকে গিয়েছিল বেশ কিছু ক্ষণের জন্য। পরে ‘ম্যানুয়ালি’ (যান্ত্রিক ভাবে নয়) পরিষেবা চালু করা হয়। এর ফলে সময়মতো মেট্রো চলছিল না ব্লু লাইনে। সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। পুরো ত্রুটি সারিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।
মেট্রোরেল সূত্রে খবর, শনিবার বেলা ১২টা ৫০ মিনিট নাগাদ দমদম স্টেশনে মেট্রোর সিগন্যালে গোলযোগের বিষয়টি নজরে আসে। ফলে সাময়িক ভাবে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। সমস্যা সমাধান করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ারেরা। দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত সাময়িক পরিষেবা বন্ধ ছিল। তবে যাত্রীদের দাবি, ব্লু লাইনের বাকি অংশেও পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে পরিষেবা মিলছে। কোনও কোনও স্টেশনে ১০ মিনিট, আবার কোথাও কোথাও ১৫ মিনিটও ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকছে।
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এসএস কান্নন জানান, দমদমের সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়। সেখানকার একটি পয়েন্ট খারাপ হয়ে যাওয়ায় সাময়িক ভাবে পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটে। কিছু ক্ষণ তা পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হয়। পরে ‘ম্যানুয়ালি’ পরিষেবা চালু হয়। তবে সময়মতো যে মেট্রো চলছে না, তা মানছেন কর্তৃপক্ষ। কান্নন জানান, দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। পরে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানান, বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।
দিন তিনেক আগে দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের একটি পয়েন্ট খারাপ হয়ে গিয়েছিল। ফলে দক্ষিণেশ্বর থেকে নোয়াপাড়ার মাঝে আচমকা থমকে যায় পরিষেবা। প্রায় এক ঘণ্টা ওই দুই স্টেশনের মাঝে পরিষেবা বন্ধ ছিল। পরে ত্রুটি সমাধান করে পুরো পথে পরিষেবা চালু করা হয়।
গত মাসখানেক ধরে কলকাতা মেট্রোয় একের পর এক বিভ্রাট দেখতে দেখতে যেন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন নিত্যযাত্রীরা। ব্লু লাইনের প্রান্তিক স্টেশন কবি সুভাষে মেট্রোর পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় সম্প্রতি ওই স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রান্তিক স্টেশন হয়ে যায় শহিদ ক্ষুদিরাম। তার পর থেকে ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের। প্রায়ই কোনও না কোনও সমস্যার কারণে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। ব্যস্ত সময়ে পরিষেবা বন্ধের ‘রোগ’ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে বলে দাবি যাত্রীদের একাংশের।