Metro

নতুন রেকে সমস্যা, দিনভর ভোগাল মেট্রো

বিভ্রাটের জেরে দুপুর আড়াইটের পরে কবি সুভাষ থেকে দমদমের কোনও ট্রেন ছাড়েনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০৮
Share:

সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে আগের তুলনায় অর্ধেকেরও কম ট্রেন চালাচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার মধ্যেই নতুন এসি রেকে দেখা দিল যান্ত্রিক সমস্যা। যার জেরে নেতাজি স্টেশনে মঙ্গলবার দুপুরের পরে দিনভর থমকে রইল মেট্রো। এই বিভ্রাটের জেরে দুপুর আড়াইটের পরে কবি সুভাষ থেকে দমদমের কোনও ট্রেন ছাড়েনি। সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে ট্রেন চলে মহানায়ক উত্তমকুমার থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত। ফলে গৃহমুখী যাত্রীদের চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।

Advertisement

এ দিন নেতাজি স্টেশন থেকে বিকল রেকটিকে রাত পর্যন্ত নড়ানো যায়নি। তবে মেট্রোকর্তারা জানান, আজ, বুধবার সকাল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে। এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ দমদমমুখী একটি ট্রেন নেতাজি স্টেশনে এসে থামে। বাতানুকূল ওই রেকটি (মেধা-৬) চেন্নাইয়ের ‘ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি’র (আইসিএফ) তৈরি। নেতাজি থেকে ছাড়ার সময়ে ট্রেনের সামনের দিকে চালকের কামরার নীচে ডান দিকের দ্বিতীয় ‘থার্ড রেল কারেন্ট কালেক্টর’ (টিআরসিসি)-এর ধাতব পাত খুলে আসে। ওই পাতের ধাক্কায় চিনামাটির যে সব ইনসুলেটরের (তড়িৎ অপরিবাহী) উপরে থার্ড রেল বসানো থাকে, সেগুলি ভাঙতে থাকে। পর পর অনেকগুলি ইনসুলেটর ভেঙে যাওয়ায় থার্ড রেল মাটিতে এসে পড়ে। ট্রেন থমকে যায়। যাত্রীরাও হতচকিত হয়ে পড়েন। তবে দুপুরের মেট্রোয় ওই সময়ে যাত্রীর সংখ্যা কমই ছিল। বিদ্যুৎহীন কামরা থেকে যাত্রীদের নেমে যেতে বলা হয়। কিছু ক্ষণ পরে কবি সুভাষ থেকে আর একটি ট্রেন ছাড়লেও সেটিকে গীতাঞ্জলি স্টেশনে থামিয়ে দিতে হয়। ওই সময়ে কবি সুভাষ থেকে কার্যত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

প্রথমে ময়দান ও নোয়াপাড়ার মধ্যে ট্রেন চালানো শুরু করা হয়। পরে নোয়াপাড়া ও টালিগঞ্জের মধ্যে মেট্রো চালানোর ব্যবস্থা হয়। চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশের যাত্রীরা। বাসে জায়গা না পাওয়ায় অনেককেই অটো বা ট্যাক্সির পিছনে ছুটতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, বিভ্রাটের মধ্যেও এ দিন প্রায় ৫১ হাজার যাত্রী মেট্রোয় সফর করেছেন। দক্ষিণের স্টেশনগুলির জন্য বরাদ্দ ই-পাস উত্তরের স্টেশনগুলিতে স্থানান্তরিত করা হয়। ফলে কিছুটা সুরাহা হয়।

Advertisement

সীমিত যাত্রী নিয়ে এত অল্প সংখ্যক ট্রেন চালিয়েও বিভ্রাট কেন এড়ানো যাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘থার্ড রেলের বিভ্রাটে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। বুধবার সকাল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক করার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন