বাসের ধাক্কায় মৃত্যু, দেহ আটকে বিক্ষোভ

সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ আলিপুর থানা এলাকার সাহাপুর রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অশোক দাস (৫২)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৮
Share:

দুর্ঘটনার পরে সাহাপুর রোডে যান নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। মঙ্গলবার। (ডান দিকে) অশোক দাস। নিজস্ব চিত্র

বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতের দেহ তুলতেও বাধা দেন বিক্ষোভকারীরা। প্রায় এক ঘণ্টা দেহ রাস্তায় পড়ে থাকার পরে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে দেহ সরাতে দেয়।

Advertisement

সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নিউ আলিপুর থানা এলাকার সাহাপুর রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অশোক দাস (৫২)। তিনি নিউ আলিপুরের দুর্গাপুর কলোনির বাসিন্দা। খাবার আনতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অশোক। কিছু ক্ষণ পরে পরিবারের সদস্যরা খবর পান, বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরেই এলাকার বাসিন্দারা বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চলাচল এবং পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে মৃতের দেহ তুলতে বাধা দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আসেন রাজ্যের পূর্ত, যুবকল্যাণ এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, একটি সরকারি বাসটি হাওড়া থেকে জোকা যাচ্ছিল। সাহাপুর রোডে একটি জুতোর দোকানের কাছে সেটি ধাক্কা মারে অশোককে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সোমবার রাতেই বাসের চালক শঙ্করচন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করেছে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে বাসটি।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু রাতের দিকে সেখানে পুলিশ না থাকায় বেপরোয়া গতিতে চলে বেশির ভাগ গাড়িই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই রাতে সরকারি বাসটি অন্য একটি বাসের সঙ্গে রেষারেষি করতে গিয়েই অশোককে ধাক্কা মারে। এলাকার বাসিন্দা এবং কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া দাসের দাবি, ঘটনাস্থলে ট্র্যাফিক সিগন্যাল বসাতে হবে এবং সব সময়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশ মোতায়েন করতে হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় মাছ ব্যবসায়ী অশোক বারাসতে থাকেন। সপ্তাহখানেক আগে দুর্গাপুর কলোনির পৈতৃক বাড়িতে এসে থাকছিলেন তিনি। সেখানে এক ভাইয়ের সঙ্গে অশোকের মা থাকেন। মঙ্গলবার অশোকের ভাই পরিতোষ জানান, সোমবার বাবাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অশোকের ছেলে এসেছিলেন। ছেলেকে অশোক জানান, রাতের খাবার আনতে যাচ্ছেন তিনি। তার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন