প্রতীকী ছবি।
আইন চালু হলেও জেলের ভিতরে মোবাইল ব্যবহারের প্রবণতায় ইতি পড়ছে না কিছুতেই!
মাঝেমধ্যেই আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ভিতরে আচমকা তল্লাশি অভিযান চালান কর্তৃপক্ষ। কখনও সেখানে থাকেন কারা দফতরের আরও পদস্থ আধিকারিক, কখনও বা সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। শনিবার তেমন ভাবেই মধ্যরাতে আলিপুর সংশোধনাগারের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তল্লাশি চালানো শুরু হয়। তখন প্রায় রাত দেড়টা। সেই সময়ই ওয়ার্ড থেকে তিনটি মোবাইল উদ্ধার করেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তবে সেই মোবাইলগুলো কোথাও লুকিয়ে রাখা ছিল না। তিনটি মোবাইলেই কথা বলছিল তিন বন্দি। সেই অবস্থাতেই তাদের ধরেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় আলিপুর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁরা।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সংশোধনাগারের ভিতরে ‘ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন ডিভাইস’ যেমন মোবাইল, ব্যক্তিগত কম্পিউটারের জন্য ব্যবহৃত ওয়াই-ফাই, ল্যাপটপ, সিম কার্ড, চার্জার-সহ সেই সংক্রান্ত অন্য সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বন্দির। গত বৃহস্পতিবার থেকে সেই আইন কার্যকর হয়েছে। ফলাও করে তা রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে সতর্ক করতে পোস্টারও পড়েছে। তাতেও কেন সতর্ক হচ্ছে না বন্দিরা! সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সংশোধনাগার থেকে কারা দফতরের অন্দরে।
সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, সাধারণত গভীর রাতের অভিযানেই এমন সাফল্য মেলে। সেই কারণে তাঁরা এমন অভিযান আরও বেশি করে করতে চান।