সরকারি বাসের আধুনিক টার্মিনাস গড়িয়ায়

পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, ৩২,৬৭০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে ওই বাস টার্মিনাস। প্রায় ১১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে এটি। দফতরের কর্তাদের আশা, পুজোর আগেই গড়িয়াবাসীর জন্য উপহার নতুন চেহারার এই বাস টার্মিনাস।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৫৯
Share:

উন্নয়ন: তৈরি হচ্ছে বাস টার্মিনাস। গড়িয়া ছ’নম্বর বাসস্ট্যান্ডে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

অনেকটা বিমানবন্দরের ধাঁচেই তৈরি হচ্ছে বাস টার্মিনাস। দূরপাল্লার বাস ধরতে এসে র‌্যাম্প বেয়ে দোতলায় গাড়ি রাখার জায়গায় সরাসরি পৌঁছে যেতে পারবেন যাত্রীরা। থাকবে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, যাত্রীদের আধুনিক প্রতীক্ষালয়, আলাদা বুকিং অফিস-সহ বিভিন্ন সুবিধা। এ ভাবেই সেজে উঠছে গড়িয়া ছ’নম্বর রুটের সরকারি বাসস্ট্যান্ডটি।

Advertisement

পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, ৩২,৬৭০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে ওই বাস টার্মিনাস। প্রায় ১১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হচ্ছে এটি। দফতরের কর্তাদের আশা, পুজোর আগেই গড়িয়াবাসীর জন্য উপহার নতুন চেহারার এই বাস টার্মিনাস।

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, গড়িয়াতে বর্তমানে পাঁচ এবং ছ’নম্বর বাস রুটের দু’টি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। এর মধ্যে নেতাজি সুভাষ রোড সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ডটিকে টার্মিনাসের চেহারা দিতে কাজ শুরু করেছে পরিবহণ দফতর। ছ’নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে বর্তমানে হাওড়া, উল্টোডাঙা, বিমানবন্দর, বারাসত, বেলুড়-সহ একাধিক রুটের বাস ছাড়ে। অনেকগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসও রয়েছে। সকালের দিকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের প্রায় ২৫টি দূরপাল্লার বাস ছাড়ে এখান থেকে। এখন সব মিলিয়ে সারা দিনে
কমবেশি ১০০টি বাস গ়ড়িয়া থেকে যাতায়াত করলেও স্ট্যান্ডের অবস্থা শোচনীয় অবস্থায় ছিল।

Advertisement

এত ব্যস্ত বাসস্ট্যান্ডে কোনও শৌচাগার নেই। অসুবিধায় পড়লে যাত্রীদের ৭০-৮০ মিটার হেঁটে পাঁচ নম্বর রুটের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শৌচালয়ে যেতে হয়। এ ছাড়াও দূরপাল্লার বাসের টিকিট বুক করার অফিসটিরও ভগ্নদশা। বাসের স্টার্টারের জন্য আলাদা কোনও কেবিনের ব্যবস্থা নেই।

গত বছর থেকে টার্মিনাস তৈরির কাজে হাত দেয় পরিবহণ দফতর। দোতলা টার্মিনাসের উপরতলায় পার্কিং লট, যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা, শৌচাগার-সহ নানা সুবিধা থাকবে। নীচের তলায় থাকবে বাস ঢোকা এবং দাঁড়ানোর ব্যবস্থা। কোন বাস কখন টার্মিনাস ছেড়ে যাচ্ছে তা জানানোর জন্য থাকবে একাধিক ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড।

এক পরিবহণ কর্তা বলেন, “গত কয়েক বছরে গড়িয়ায় জনবসতি বাড়ার নিরিখে এই বাসস্ট্যান্ডের গুরুত্ব বেড়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের যাত্রীসংখ্যাও যথেষ্ট। সব দিক ভেবেই ছ’নম্বর বাসস্ট্যান্ডের খোলনলচে বদলানো হচ্ছে।” ওই কর্তা আরও জানান, গড়িয়ার পাশপাশি ঢেলে সাজছে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডও। সে কাজে বরাদ্দ হয়েছে সাড়ে চার কোটি টাকা। যাত্রীদের ভাল পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সেখানেও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন