মমতা-হামলায় অভিযুক্ত মোক্তার প্রার্থী কংগ্রেসের

গার্ডেনরিচে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলায় অভিযুক্ত মহম্মদ মোক্তারকে কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী করল কংগ্রেস। মমতা তখন কংগ্রেসে। অধুনা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গার্ডেনরিচে যাচ্ছিলেন মমতা। যাওয়ার পথে মমতার উপর হামলায় মোক্তারই ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত। মোক্তার তখন সিপিএমে। পরে কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসিতে যোগ দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৫ ০৩:০৫
Share:

আসন্ন কলকাতা পুরভোটে দলীয় প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।—নিজস্ব চিত্র।

গার্ডেনরিচে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলায় অভিযুক্ত মহম্মদ মোক্তারকে কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী করল কংগ্রেস।

Advertisement

মমতা তখন কংগ্রেসে। অধুনা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গার্ডেনরিচে যাচ্ছিলেন মমতা। যাওয়ার পথে মমতার উপর হামলায় মোক্তারই ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত। মোক্তার তখন সিপিএমে। পরে কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসিতে যোগ দেন তিনি।

শনিবার কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১৭টি ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। গার্ডেনরিচের ১৩৬ ওয়ার্ডে কংগ্রেস মোক্তারকে প্রার্থী করায় স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হরিমোহন ঘোষ কলেজের ছাত্র সংসদের ভোট ঘিরে গোলমালেও নাম জড়িয়েছিল মোক্তারের। তিনি প্রার্থী হওয়ায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে কি না, জানতে চাওয়া হলে অধীর তাতে গুরুত্ব না দিয়ে বরং বলেন, “দলের সভাপতির (অধীর নিজেকে বুঝিয়েছেন) বিরুদ্ধেই ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে! সভাপতিই যেখানে অপরাধী, সেখানে দলে দুয়েক জন এমন লোক তো থাকবেই!”

Advertisement

পুরভোটের আগেই দলের তিন কাউন্সিলর মালা রায়, অরুণ দাস, সুমন সিংহ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এখন বেশ টালামাটাল অবস্থা কংগ্রেসের। একের পর এক নেতা-কর্মীর দলত্যাগে এ বার হন্যে হয়ে প্রার্থীর খোঁজে নেমেছে কংগ্রেস। দলের বাকি দুই কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় (২৯ ওয়ার্ড) এবং সন্তোষ পাঠক (৪৫ ওয়ার্ড) অবশ্য নিজেদের পুরনো ওয়ার্ড থেকেই এ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থী-তালিকায় স্বাভাবিকভাবেই চেনা মুখের ভিড় নেই। অধীরও প্রকারান্তরে সে কথা স্বীকার করে বলেন, “নেতা অপেক্ষা কর্মীর গুরুত্ব বেশি। কে কতদিন কংগ্রেস করেছে বা কংগ্রেস পরিবারের কি না, তা দেখা হয়নি। এলাকায় কার জনপ্রিয়তা রয়েছে, প্রার্থী বাছাইয়ে সে দিকেই জোর দেওয়া হয়েছে।”

মালাদেবীর ছেড়ে যাওয়া ৮৮ ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থী এ বার দীর্ঘদিনের দলীয় কর্মী কাকলি ঘোষ। সুমনদেবীর ৬ ওয়ার্ডের প্রার্থী এক কংগ্রেস নেতার স্ত্রী। অরুণবাবুর ৫৫ ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী ঔরঙ্গজেব খান এ দিনই অধীরের উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেন। ওই ওয়ার্ডে তিনিই এ বারের কংগ্রেস প্রার্থী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement