নজর পুরভোটে, পরিষেবার উন্নয়নে টাকা দিচ্ছে রাজ্য

১৫৫ কোটি টাকা কলকাতা পুরসভাকে দিচ্ছে সরকার। আগামী বছর কলকাতা পুরসভার ভোট। সে দিকে চোখ রেখেই শহরের উন্নয়নের কাজে ‘খামতি’ মেটাতে চায় সরকার। তাই নিজেদের ভাঁড়ারের অবস্থা ভাল না হওয়া সত্ত্বেও পুরসভার জন্য ওই টাকা মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার। পুরকর্তারা অবশ্য বলছেন, ওই টাকার জন্য অনেক আগে থেকেই সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। এত দিনে সাড়া মিলল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৪ ০০:০১
Share:

১৫৫ কোটি টাকা কলকাতা পুরসভাকে দিচ্ছে সরকার। আগামী বছর কলকাতা পুরসভার ভোট। সে দিকে চোখ রেখেই শহরের উন্নয়নের কাজে ‘খামতি’ মেটাতে চায় সরকার। তাই নিজেদের ভাঁড়ারের অবস্থা ভাল না হওয়া সত্ত্বেও পুরসভার জন্য ওই টাকা মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার। পুরকর্তারা অবশ্য বলছেন, ওই টাকার জন্য অনেক আগে থেকেই সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। এত দিনে সাড়া মিলল।

Advertisement

টাকা অনুমোদনের খবর পেয়েই রীতিমতো সাজ সাজ রব পড়ে গিয়েছে পুরসভায়। বুধবার সকালেই রাজ্যের অর্থ দফতরের অনুমোদনের ওই চিঠি এসে পৌঁছয়। তার পরেই কোন দফতরে কত টাকা খরচ হবে, তা নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। মেয়র পারিষদ-সহ বিভিন্ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। পুরসভা সূত্রের খবর, রাস্তা, জঞ্জাল অপসারণ, জল সরবরাহ, নিকাশি, বস্তি এবং আলো-সহ পুর পরিষেবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোথায় কী কাজ অবিলম্বে করা দরকার, তার তালিকা করার নির্দেশ দেন তিনি।

পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানান, সব কাজই দ্রুত করতে বলা হয়েছে। আসলে পুর-ভোটের আগে শহরবাসী যাতে তার সুফল পান, সে ব্যাপারে সজাগ করা হয়েছে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, রাস্তার জন্য ৪৫ কোটি, জঞ্জাল অপসারণে ২৫ কোটি, আলোয় ৬ কোটি এবং জল সরবরাহে ২১ কোটি খরচ করা হবে। তবে সব কিছুই চূড়ান্ত করতে আজ, শুক্রবার মেয়র পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, নির্ধারিত বৈঠক ডাকা হয়েছিল ১০ নভেম্বর। পরে সরকারের অর্থ দফতরের ওই অনুমোদন পেয়ে বৃহস্পতিবার মেয়র জরুরি ভিত্তিতে এই বৈঠক ডাকার নির্দেশ দেন। শোভনবাবু মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাগর সফরে গিয়েছেন। শুক্রবার তিনি ফেরার পরে বিকেল চারটেয় মেয়র পরিষদের ওই বৈঠক হবে। বিভিন্ন দফতরে ঠিক কত টাকা বরাদ্দ করা হবে, তা সেখানেই নির্ধারিত করা হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বুধবারই বাইপাসের ধারে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে এক মডেল বস্তির শিলান্যাসে গিয়ে মেয়র বলেছিলেন, শহরের উন্নয়নে ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। সেখানেই তিনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার কথাও জানান। তবে সরকার ১৫৫ কোটি টাকা অনুমোদন করলেও বাকি টাকা কোথা থেকে আসবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারেননি পুরকর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন