যাত্রীদের জন্য সাহায্যের হাত রেলের

টিকিট কাটতে যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রির যন্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০০:৫৮
Share:

হাতেকলমে: নতুন মেশিনে চলছে টিকিট কেনা। নিজস্ব চিত্র

টিকিট কাটতে যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে দক্ষিণ শহরতলির বিভিন্ন স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রির যন্ত্রের সংখ্যা বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন। রেল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই যন্ত্র বসানো শুরু হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই ৭২টি যন্ত্র বসানো হবে। তবে নতুন যন্ত্রের বেশির ভাগই দক্ষিণ শাখার গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে বসানো হচ্ছে।

Advertisement

সেই তালিকায় রয়েছে বারুইপুর, যাদবপুর, সোনারপুর, ডায়মন্ড হারবারের মতো স্টেশন। রেলের এক কর্তা জানান, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নিতান্ত ছোট এবং হল্ট স্টেশন বাদ দিয়ে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত কমবেশি সব স্টেশনেই ওই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বসছে। পাশাপাশি বিকল হওয়া যন্ত্রগুলিকেও সারানো হয়েছে।

রেল সূত্রের খবর, যাত্রী বাড়লেও অনেক স্টেশনেই পাল্লা দিয়ে টিকিট কাউন্টার বাড়ানো সম্ভব হয়নি। পর্যাপ্ত কাউন্টারের অভাবে ব্যস্ত সময়ে টিকিট কাটতে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। এত দিন শিয়ালদহ ডিভিশনের ৬৩টি স্টেশনে ২০০টি স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রির যন্ত্র ছিল। মূলত কাউন্টারের প্রতি যাত্রীদের নির্ভরতা কাটাতেই নতুন করে ৪৮টি স্টেশনে আরও ৭২টি যন্ত্র বসানো হচ্ছে। তবে ওই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে যাত্রীরা

Advertisement

অভ্যস্ত কম, তাই তাঁদের সাহায্যেও বিশেষ পদক্ষেপ করছে রেল। বিশেষ স্মার্ট কার্ড দিয়ে যন্ত্র থেকে টিকিট কাটতে যাত্রীদের সাহায্যে রেলের ১১১ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে কাজে লাগানো হবে। তাঁরা নিজেদের স্মার্ট কার্ড দিয়েও যাত্রীদের টিকিট কেটে দিতে পারবেন। বিনিময়ে টিকিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত অর্থের তিন শতাংশ পর্যন্ত কমিশন পাবেন তাঁরা। তবে এ জন্য যাত্রীকে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে না। স্টেশনের কাছাকাছি থাকেন, এমন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের চিহ্নিত করে এই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

কী ভাবে তাঁরা সাহায্য করবেন?

স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় টিকিট বিক্রির যন্ত্র থেকে টিকিট কাটা হয়। যাত্রীরা রেলের কাউন্টার থেকে ওই বিশেষ কার্ডে নির্দিষ্ট অঙ্কের ব্যালান্স ভরতে পারেন। সেই কার্ড প্রয়োজন মতো ব্যবহার করে কাগজের ‘পেপার টিকিট’ কাটা যায়। কিন্তু স্মার্ট কার্ড আছে এমন যে কেউ নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে দিনে ১০টির বেশি টিকিট কাটতে পারেন না। অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মীদের ক্ষেত্রে সংখ্যার সে বাধা নেই। স্মার্ট কার্ডহীন যাত্রীরা সাহায্যকারী কর্মীকে নির্দিষ্ট গন্তব্য জানালে তিনি নিজের কার্ড দিয়ে টিকিট কেটে দিতে পারবেন। বদলে কমিশন পাবেন। যেমন কোনও কর্মী দৈনিক ১০ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি করলে তিনি ৩০০ টাকা বোনাস পাবেন।

শিয়ালদহের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার চিত্তরঞ্জন ঝা বলেন, “এর ফলে টিকিট বিক্রি করে রেলের আয় তুলনায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের সকাল-সন্ধ্যা স্টেশনগুলিতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন