দক্ষিণ দমদমে মশা-আতঙ্ক কাটানো চ্যালেঞ্জ পুরসভার

১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় মশাবাহিত রোগ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন। বাসিন্দাদের বক্তব্য, আগের তুলনায় পুরসভার কাজে গতি বাড়লেও প্রতিদিনই কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি।

মশাবাহিত রোগে জেরবার দক্ষিণ দমদমের কয়েকটি ওয়ার্ড। অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে দাবি পুরসভার। কিন্তু আতঙ্ক কাটছে না এলাকায়। সেই আতঙ্ক কাটিয়ে তোলাই এখন পুরসভার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

Advertisement

পুরসভার দাবি, মূলত তিনটি ওয়ার্ডে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ সব চেয়ে বেশি। বাকি ওয়ার্ডে অবস্থা তুলনায় ভাল। সোমবার কাউন্সিলরদের বৈঠকে সেই তিনটি ওয়ার্ডে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, সেখানে মশা নিয়ন্ত্রণে পুরকর্মীদের প্রতিদিন কাজ করানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।

১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় মশাবাহিত রোগ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে ভুগছেন। বাসিন্দাদের বক্তব্য, আগের তুলনায় পুরসভার কাজে গতি বাড়লেও প্রতিদিনই কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে সেই তথ্য পুরসভাকে জানাচ্ছেন না। আবার অনেক ক্ষেত্রে কেউ অন্য রোগে আক্রান্ত হলেও ডেঙ্গি বলে রটে যাচ্ছে। যদিও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জয়া দত্ত এবং পরীক্ষিৎ বেরা নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সেই তথ্য মানতে নারাজ পুরসভা।

Advertisement

১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর পাল বলেন, ‘‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতো কাজ চলছে। বাসিন্দাদের কাছে একটাই আবেদন, বাড়িতে জল জমতে দেবেন না।’’

পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা উন্নত হয়েছে। জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কিন্তু পুরকর্মীদের একাংশের কথায়, বাসিন্দাদের সচেতনতার হাল এখনও একই রকম।

এ দিন মশাবাহিত রোগ নিয়ে পুরসভা একটি কর্মশালার আয়োজন করেছিল। যদিও প্রতিনিধিদের একাংশের কথায়, শুধু তত্ত্ব বুঝেই কাজ হবে না, মশা নিয়ন্ত্রণে হাতেকলমে কাজ বুঝতে হবে।

তবে পুরকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে এসেছে দক্ষিণ দমদমে।

দক্ষিণ দমদম পুরসভার মতোই মশার প্রকোপ ঠেকাতে জোরকদমে কাজ চলছে বলে দাবি করেছে বিধাননগর পুরসভা।

জুন মাস পর্যন্ত মশার দাপট কিছুটা কমলেও ফের স্বমহিমায় মশকবাহিনী। এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের।

সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় মশার প্রকোপ বৃদ্ধির খবর মিলেছে। বিশেষত তিন নম্বর সেক্টরে। ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের পাড় ধরে সেখানে বিস্তীর্ণ অংশে মশা বেড়েছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।

তার জন্য মূলত ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলে জলপ্রবাহের অভাবই মুখ্য কারণ বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। পাশাপাশি পুরসভার তৎপরতা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও পুরকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এখনও অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব রয়েছে।

ইতিমধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও সরকারি ভাবে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি পুরসভার।

পুরসভার দাবি, ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের জলপ্রবাহ নিয়ে নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আলোচনা হবে। তবে ইতিমধ্যেই খালে নৌকা নামিয়ে বহু জায়গায় লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এলাকাতেও নিয়মিত মশা মারার কাজ করছেন পুরকর্মীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement