মেট্রো প্রকল্পের জমা জলে মশার লার্ভা, অভিযোগ

নির্মল দত্ত নামে স্থানীয় ওই কাউন্সিলর জানিয়েছেন, মেট্রো প্রকল্পের জায়গায় শুধু লোহার বিভিন্ন সামগ্রীই পড়ে নেই, জমে রয়েছে প্রচুর আবর্জনাও।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ০১:২৯
Share:

নির্মীয়মাণ মেট্রো প্রকল্পের মধ্যে এ ভাবেই জমে থাকে জল। সল্টলেকের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে। নিজস্ব চিত্র

চার দিকে লোহার পাত আর বিভিন্ন রকমের সামগ্রীর স্তূপ। সেই সমস্ত মালপত্রের ভিতরে জমে রয়েছে জল।

Advertisement

সম্প্রতি সল্টলেকের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মীয়মাণ মেট্রো প্রকল্পের ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় এমন ছবিই দেখতে পেয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তাঁর অভিযোগ, জায়গাটি মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। তাঁর দাবি, বিধাননগর পুরসভাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, এলাকাটি যাতে পরিষ্কার রাখা হয়, তার জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হবে।

নির্মল দত্ত নামে স্থানীয় ওই কাউন্সিলর জানিয়েছেন, মেট্রো প্রকল্পের জায়গায় শুধু লোহার বিভিন্ন সামগ্রীই পড়ে নেই, জমে রয়েছে প্রচুর আবর্জনাও। তাঁর অভিযোগ, ওই আবর্জনা জমে থাকায় তাঁর ওয়ার্ডের বেশ কিছু নিকাশি নালা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কারণ অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, মেট্রো প্রকল্পের ওই ঘেরা জায়গায় দু’টি পিট রয়েছে। জঞ্জাল জমে সেগুলিও প্রায় অবরুদ্ধ। পিট পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখা যায়, পড়ে থাকা লোহার পাতগুলির একাংশে জল জমে রয়েছে। সেই জলে বিপুল পরিমাণ মশার লার্ভা দেখা যায়। নির্মলবাবুর বক্তব্য, দ্রুত পদক্ষেপ করা না হলে শুধু তাঁর ওয়ার্ডই নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও তার প্রভাব পড়বে। তিনি জানান, তাঁর ওয়ার্ডের একটি আবাসনের নিকাশি নালা ওই প্রকল্প এলাকার ভিতর দিয়ে গিয়েছে। সেটিও এখন কার্যত অবরুদ্ধ।

Advertisement

কাউন্সিলরের দাবি, তিনি এ বিষয়ে পুরসভাকে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এর পরে কেউ মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হলে তখন পুর প্রশাসনের উপরে দায় বর্তাবে। পুরসভাকে লিখিত জানিয়ে রাখলাম।’’

সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘গত বারেও ওই প্রকল্প এলাকায় সমস্যা হয়েছিল। প্রয়োজনে পুর প্রশাসনের তরফে ফের মেট্রো কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জানানো হবে।’’

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, জল জমলে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু এখনও তাঁদের কাছে তেমন কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে দ্রুত ঠিকাদার সংস্থাকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন