ঘুরে দেখলেন মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। সোমবার।— নিজস্ব চিত্র।
এ বার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও মিলল ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়াবাহী মশার লার্ভা। সোমবার ওই হাসপাতালে মশার লার্ভা রয়েছে কি না, তা দেখতে অভিযান চালায় পুরসভার টিম। তখনই তাদের নজরে আসে প্রিন্সিপালের অফিস, চিকিৎসকদের হস্টেল-সহ প্রায় ৭-৮টি জায়গায় ওই দুই রোগবাহী মশার লার্ভা মিলেছে। তাতেই চোখ কপালে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের। অভিযানে হাজির ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ স্বয়ং। তিনি অবশ্য
বিষয়টি অস্বীকার করেননি। উল্টে বলেছেন, ‘‘এত বড় ক্যাম্পাস। সব কোনায় কোনায় নজরদারি দেওয়া সম্ভব হয় না।’’ তবে নজরদারি যে আরও বাড়াতে হবে সে ব্যাপারে তাঁকে অনুরোধ জানিয়ে এসেছেন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ।
গত সপ্তাহেই নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেশ কয়েকটি স্থানে ওই দু’টি রোগের বাহক এডিস ও অ্যানোফিলিস মশার লার্ভা মিলতেই সতর্ক করা হয়েছিল ওই হাসপাতাল প্রশাসনকে।
এ দিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে জমে থাকা আবর্জনার পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় দেখা মিলেছে জমা জলেরও। এর মধ্যে রয়েছে উদয়ন ডক্টরস হস্টেল, চর্ম বিভাগের সামনে, বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের পিছনে, ইডেন হাসপাতালের উল্টোদিকে পাওয়ার হাউসের ছাদে, নার্সিং হোস্টেলের
সামনে নয়ানজুলিতে জমে থাকা জলে ওই দুই রোগবাহী মশার লার্ভা মিলেছে। হাসপাতালের নিজস্ব পরিকাঠামো এবং চত্বর পরিষ্কার রাখার জন্য যথেষ্ট লোকবল থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়মিত তা সাফ রাখা হয় না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
যদিও কলেজের অধ্যক্ষ তপনকুমার লাহিড়ী মনে করেন, শুধু কর্মীদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। হাসপাতালে আসা মানুষজনের মধ্যেও যথেষ্ট সচেতনতাও দরকার। তিনি বলেন, ‘‘অনেকেই ডাবের খোলা, চায়ের কাপ ইত্যাদি ফেলেন। বৃষ্টির জল তাতে ভরে গিয়ে জমা হতে থাকে। জন্মায় মশার লার্ভা।’’ এ ছা়ড়াও তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতালে প্রচুর নির্মাণকাজ চলছে। সেখানেও জল জমছে। তবে এ বার থেকে নিয়মিত ভাবে মশার বংশবৃদ্ধি রুখতে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ তৎপর হবে বলে অতীনবাবুকে আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ।