ডেঙ্গি-যুদ্ধে এখনও শীতঘুমে তিন পুরসভা

বছরের গোড়া থেকেই মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনতায় জোর দিতে পথে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। অভিযোগ, এখনও শীতঘুমে বিধাননগর, দমদম ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা। গত এক বছরে ডেঙ্গি রোগে তিনটি পুর এলাকা মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:০৩
Share:

বছরের গোড়া থেকেই মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতনতায় জোর দিতে পথে নেমেছে কলকাতা পুরসভা। অভিযোগ, এখনও শীতঘুমে বিধাননগর, দমদম ও দক্ষিণ দমদম পুরসভা। গত এক বছরে ডেঙ্গি রোগে তিনটি পুর এলাকা মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। অথচ প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছিল শুরু থেকেই ডেঙ্গি প্রতিরোধে পদক্ষেপ করবে তারা।

Advertisement

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তিনটি পুরসভার তরফেই জানানো হয়েছে, পথে নেমে মিছিলের মাধ্যমে জনমত গঠনের কাজ শুরু না হলেও মেলাগুলিতে প্রচার চলছে। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে অন্য পরিকল্পনাও তৈরি হয়ে গিয়েছে।

বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতার মতোই তারাও বেশি জোর দেবে সচেতনতার প্রচারে। মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে স্থানীয় কেব্‌ল, সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন, হোর্ডিং, লিফলেট, মিছিল, পথনাটিকা, সঙ্গীত-সহ সাংস্কৃতিক প্রচারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার
করা হচ্ছে।

Advertisement

দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) গোপা পাণ্ডে বলেন, ‘‘আমরাও প্রচার শুরু করেছি। এখন মেলাগুলিতে প্রচার হচ্ছে। সঙ্গে প্রচার চলছে মাইকেও।’’

দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান বরুণ নট্ট অবশ্য জানান, সচেতনতায় ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছেন তাঁরা।

বিধাননগর পুরসভার দাবি, প্রচারের পাশাপাশি পরিকাঠামো উন্নতির পরিকল্পনাও হয়েছে। বিধাননগর পুরসভার ৪১টি ওয়ার্ডের জন্য তিনটি হাসপাতাল পুনরায় চালু করা হচ্ছে। রাখা হবে পতঙ্গ বিশারদ। প্রতি ওয়ার্ড নিয়ে ডেঙ্গি প্রতিরোধে পরিকল্পনা হবে।

বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় বলেন, ‘‘মাত্র এক বছর গঠন হয়েছে নতুন পুরসভা। এরই মধ্যে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। এ বার শুরু থেকেই পরিকাঠামো সংস্কারে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’ যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইতিমধ্যেই মশার প্রকোপ বেড়েছে। আগামী কয়েক মাসে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ফের ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়বে।

সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পরিকাঠামোর সংস্কার প্রয়োজন। রাজ্য সরকারের কাছে যেমন প্রস্তাব পাঠাব, তেমনই বিনিয়োগকারীদের কাছেও এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আবেদন করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন