মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে লাগাতার সচেতনতা, নজরদারি, নিয়মিত সাফাই, মশার তেল স্প্রে করার কাজে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছিল বিধাননগর পুরসভা। কিন্তু সল্টলেকের একাধিক ব্লকের বর্তমান ছবি অন্য কথা বলছে। সিকে, এফডি ব্লকে খোদ পুরসভার জলাধার এলাকাতেই গজিয়েছে ঝোপজঙ্গল।
পুরসভা অবশ্য জানিয়েছে, পুজোর আগেই ঝোপজঙ্গল সাফ করা হবে। মঙ্গলবার বিধাননগর পুরভবনে মেয়র পরিষদের বৈঠকে এই কাজ দ্রুত শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুরসভা সূত্রে খবর, বেশ কিছু কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি আবাসন চত্বরে ঝোপজঙ্গল গজিয়ে উঠেছে, জমেছে আবর্জনাও। যদিও বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) রহিমা বিবি মণ্ডল জানান, কোথায় ঝোপজঙ্গল রয়েছে সে বিষয়ে পুরসভা ওয়াকিবহাল। বরোভিত্তিক সাফাইয়ের কাজ শুরুও হয়েছে। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, গত বছরগুলির তুলনায় এ বার মশাবাহিত রোগের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনেক ভাল।
মঙ্গলবারের বৈঠকেই সাফাইয়ের পাশাপাশি রাস্তা মেরামতির প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়। পুরসভা জানিয়েছে,
বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত বছরই কোটি কোটি টাকা খরচ করে উন্নত মানের রাস্তা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বেশ কিছু জায়গায় সেই রাস্তা ভেঙেচুরে গিয়েছে। ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের পাড় বরাবর কংক্রিটের রাস্তা মিশেছে ই এম বাইপাসে। সেই রাস্তায় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। পূর্ত ভবন মোড় থেকে ৯ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে রাস্তায় গর্ত দেখা দিয়েছে। এফডি ও জিসি ব্লকের রাস্তাও ভেঙেচুরে গিয়েছে।
বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, রাস্তা মেরামতির জন্য ১৫ কোটি টাকার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে পুজোর আগে শুধু প্যাচওয়ার্ক করা হবে। নভেম্বর থেকে পুরোদমে রাস্তা মেরামতি শুরু হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, পুরসভার ৪১টি ওয়ার্ডের রাস্তা মেরামত ও নতুন রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকার খসড়া প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো হবে।