দ্বিতীয় হুগলি সেতুর এজেসি বসু রোড র্যাম্পের নীচ থেকে বুধবার উদ্ধার হয়েছিল বছর ত্রিশের এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ। আড়াই ফুটের একটি ড্রামে দু’পা মুড়িয়ে ভরে রাখা ছিল দেহটি। বৃহস্পতিবারও জানা গেল না ওই যুবকের পরিচয়।
পুলিশের দাবি, দেহটি শনাক্তকরণের জন্য গোয়েন্দারা বুধবার রাতেই শহর লাগোয়া বিভিন্ন মাছের আড়তদারের কাছে ও বাজারে খোঁজ করলেও লাভ হয়নি। মৃতের পরিচয় জানতে এ দিন সকাল থেকে গোয়েন্দাদের কয়েকটি দল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন ভেড়ি এলাকায় হানা দেয়। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ওই রাস্তা দিয়ে কোন কোন গাড়ি গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তা চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানায়, উদ্ধার হওয়া ড্রামটির গায়ে গুজরাতের একটি রাসায়নিক সংস্থার নাম রয়েছে। সাধারণত এই ড্রামগুলি প্রথম বার ব্যবহারের পরে তা মাছ রাখার কাজে লাগান মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তাই ভেড়ি এলাকায় খোঁজ চালানো হয়। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘মৃতের দেহে যে ধরনের আঘাত আছে, তা ভেড়ি এলাকায় সংঘর্ষের সময়ে হয়ে থাকে। তাই মনে হচ্ছে, ওই যুবক ভেড়ি এলাকায় পরিচিত হতেও পারেন।’’
ময়না তদন্তের রিপোর্টে পুলিশ জেনেছে, ওই যুবকের গলায় শ্বাসরোধ করার চিহ্ন ছাড়াও ভোঁতা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাঁ কানের পিছনে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। চিকিৎসকেরাও ওই যুবকের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা জানান। ভেঙে গিয়েছে তাঁর দু’দিকের দু’টি করে পাঁজরের হাড়।
লালবাজার সূত্রে খবর, যেখান থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেই এলাকার কয়েক জন ভবঘুরের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। ওই ভবঘুরেরা কাউকে দেহটি ফেলতে দেখেছিলেন কি না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।