কাজিপাড়া বিস্ফোরণে আটক ৩

নাগেরবাজার বিস্ফোরণে স্থানীয় একটি মোবাইল ও ফটোকপির দোকানের মালিক-সহ তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ঘটনার পরে কাজিপাড়ার মোবাইল সংস্থার টাওয়ারের তথ্য ঘেঁটে এই তিন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৫৪
Share:

বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্তারা। —ফাইল চিত্র

নাগেরবাজার বিস্ফোরণে স্থানীয় একটি মোবাইল ও ফটোকপির দোকানের মালিক-সহ তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ঘটনার পরে কাজিপাড়ার মোবাইল সংস্থার টাওয়ারের তথ্য ঘেঁটে এই তিন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতীর সম্পর্কেও খোঁজ নিচ্ছে সিআইডি। শনিবার রাতে সিআইডি-র এক পদস্থ কর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু কাউকে আটক করে রাখা হয়নি।

Advertisement

গত মঙ্গলবার সকালে নাগেরবাজারের কাজিপাড়ায় বিস্ফোরণে মারা যায় বিভাস ঘোষ নামে এক শিশু। আহত হন ১০ জন। নবান্ন সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের পরে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা ও দমদম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল জল ঢেলে ধুয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। এর ফলে বহু তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়েছে। নবান্নের খবর, এ ব্যাপারে ডিজির ক্ষোভের কথা ব্যারাকপুর কমিশনারেটের শীর্ষকর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, সন্দেহভাজন ওই তিনজনকে ঘটনার আগে-পরে ঘন ঘন ফোন করতে দেখা গিয়েছে। তিন জনের কল ডিটেলস রেকর্ডও পরীক্ষা করা হচ্ছে। ভবানী ভবনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দমদম, কৈখালি, অর্জুনপুর এলাকার দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ দিন বিস্ফোরণে আহত ফলবিক্রেতা অজিত হালদারের বোন যমুনা মণ্ডলকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, নিজের বিবৃতি বারবার বদল করছেন যমুনা। শুক্রবার যমুনা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সকালে অজিত ও তিনি মেছুয়া থেকে ফল কিনেছিলেন। কিন্তু এ দিন তিনিই গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করেছেন, সে দিন শিয়ালদহ থেকে ফল কিনেছিলেন তাঁরা। কোথা থেকে ফল কিনেছিলেন, কোথা থেকে ট্যাক্সিতে চেপেছিলেন তা জানতে যমুনাকে নিয়ে শিয়ালদহে তদন্তকারীদের একটি দল গিয়েছিল বলে খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement