নাগেরবাজার বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্ত দাবি করে রাজনাথকে চিঠি দিলীপ ঘোষের।
নাগেরবাজার বিস্ফোরণের এনআইএ তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছে চিঠি পাঠালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘খাগড়াগড়-কাণ্ডের পরেও রাজ্য সরকার তথ্য লোপাটের চেষ্টা করেছিল। এ বারেও তাই করছে। সে জন্যই আমরা এনআইএ দাবি করছি।’’ তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা জবাব, ‘‘চাওয়ার কোনও শেষ নাই, চাওয়ার চেষ্টা বৃথা তাই। ওরা কখনও রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সিবিআই চাইছে, কখনও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এনআইএ চাইছে। শুধু রাজ্যের জন্য কিছু চাইছে না।’’
খাগড়াগড়ে-কাণ্ডের পরেও এনআইএ দাবি করেছিলেন তৎকালীন রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাহুল সিংহ। সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এ দিন দিলীপবাবু বলেন, ‘‘এনআইএ এসেছিল বলেই খাগড়াগড় যে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত ছিল, তা সামনে এসেছিল। নাগেরবাজারের ঘটনাতেও একইরকম আশঙ্কা করছি।’’
এ দিনই লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এক ধাপ এগিয়ে ফেলল বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে এ দিন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, নির্বাচন কমিটির ‘আহ্বায়ক’ মুকুল রায়। অর্থাৎ, তিনিই ওই কমিটির প্রধান। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষকের একটি পদ তৈরি করে পাঠানো হচ্ছে অরবিন্দ মেননকে। বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর নাম ঘুরছিল। রাজ্য দলের একাংশের দাবি, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক শিবপ্রকাশকে যাতে আর পশ্চিমবঙ্গে আসতে না হয়, তার জন্যই মেননকে নিয়ে আসা হল। যিনি অন্য কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সাহায্য করবেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, শিবপ্রকাশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়ার পরেই তাঁর বদলি খোঁজার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। তবে দিলীপবাবুর দাবি, শিবপ্রকাশ যেমন আছেন, তেমনই থাকবেন। তাঁকে সরানো হচ্ছে না।