রোগ নিরাময়ের ‘শর্ত’ রাখল পুরসভা। অবশ্য সাধারণ মানুষের কাছে নয়, খোদ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।
বিধাননগর পুরসভায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ নিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানান মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তিনি জানান, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিভিন্ন আবাসন, অফিস ও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প এলাকার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন অফিস, খাল-ঝিল বিধাননগরে মশার উৎসস্থল। কিন্তু সে সব পুরসভার অধীন না হওয়ায় মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে তারা ঢুকতে পারে না। সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়েছে। তাঁর নির্দেশ মতো রাজ্যকে সে কথা জানিয়েছে পুরসভা। তাঁর কথায়, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের অধীন এলাকায় পুরসভা মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে কাজ করতেই পারে। তবে সে জন্য পুরসভার প্রবেশের অনুমতি এবং পরিষেবা দেওয়ার জন্য সার্ভিস চার্জ লাগবে।
সার্ভিস চার্জ কেন? মেয়র জানান, অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের জন্য বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে পরিষেবা দিয়েছে বিধাননগর পুরসভা। সেই খরচের কথা রাজ্য ক্রীড়া দফতরকে জানানো হলে বলা হয়েছিল, জেলা প্রশাসন থেকে তা মিটিয়ে দেওয়া হবে। তা এখনও মেলেনি। পুরকর্তাদের একাংশের মতে, পুরসভার আর্থিক ক্ষমতা সীমিত হওয়ায় অতিরিক্ত খরচ না মেটালে সমস্যা হয়। সব্যসাচীবাবুর মতে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত পুরসভা কোনও ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান পায়নি। তবে চার জনের রক্ত পরীক্ষায় এনএস ১ ধরা পড়েছে। এ বার প্রথম থেকেই পরিকল্পনা নিয়ে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে বলে দাবি পুরসভার। সে জন্য সচেতনতার প্রচারের পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে তথ্য সন্ধানে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে মশাবাহিত রোগ নিয়ে কেউ ভর্তি হলে তা পুরসভায় জানানোর আবেদন করা হচ্ছে। বিধাননগরের বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্সে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের সচেতনতায় বার্তা দেওয়া হবে।