ইস্ট-ই হল শুধু, এখনও পৌঁছনো গেল না ওয়েস্টে

এ বছরের শেষে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করতে চাইছে রেল বোর্ড। তবে ইস্ট-ওয়েস্ট নয়, রেলপথটির আত্মপ্রকাশ ঘটবে ইস্ট-ইস্ট মেট্রো হিসেবে!

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ০২:৩৫
Share:

ছবি: কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসি)-র ওয়েবসাইট থেকে।

ইস্ট-ওয়েস্ট নয়, শুধুই ইস্ট-ইস্ট!

Advertisement

এ বছরের শেষে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করতে চাইছে রেল বোর্ড। তবে ইস্ট-ওয়েস্ট নয়, রেলপথটির আত্মপ্রকাশ ঘটবে ইস্ট-ইস্ট মেট্রো হিসেবে! সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান নয়, ট্রেন যাবে সেক্টর ফাইভ থেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন পর্যন্ত। শুরু, পূর্বে, শেষও তাই। অনেকেই বলছেন, ‘‘এটা আসলে ইস্ট-ইস্ট মেট্রো।’’

পরিকল্পনা অনুযায়ী, কলকাতার পূর্ব প্রান্তের সঙ্গে পশ্চিম প্রান্তের যোগাযোগ ঘটানোর কথা ওই রেলপথের। ন’বছর আগে কাজ শুরু হওয়া ওই রেলপথ অবশেষে হাওড়া ময়দান থেকে গঙ্গার নীচ দিয়ে বি বা দী বাগ পর্যন্ত পৌঁছেছে। ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত সুড়ঙ্গের কাজ শেষ। যদিও এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত সুড়ঙ্গের কাজ এখনও বাকি। তাই সুভাষ সরোবর থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ট্রেন কবে চলবে, বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। ঠিক ছিল, প্রথম পর্যায়ে সেক্টর ফাউভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত চলবে ট্রেন। সেই পরিকল্পনার কী হল? মেট্রোর দাবি, ফুলবাগানে স্টেশন তৈরি অনেকটা এগোলেও ভেন্টিলেশন, বিদ্যুৎ এবং জলের ব্যবস্থা-সহ বেশ কিছু জরুরি পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরুই হয়নি। আগামী অক্টোবরের মধ্যে ওই কাজ সম্পূর্ণ হওয়া প্রায় অসম্ভব।

Advertisement

কিন্তু এত সংক্ষিপ্ত পথে ট্রেন চালিয়ে আদৌ কি লাভ হবে মানুষের? এক মেট্রো কর্তা বলেন, “মাটির নীচে ফুলবাগান পর্যন্ত ট্রেন নিয়ে যাওয়া যথেষ্ট নয়। ট্রেন ঘোরানোর জন্য ওই মেট্রো স্টেশন ছাড়িয়ে অন্তত আরও ৭৫০ নিটার শিয়ালদহের দিকে যেতে হবে। ওই পথে যাত্রীও মিলবে না।”

ফলে ফুলবাগান ছাড়িয়ে শিয়ালদহ পর্যন্ত সুড়ঙ্গের নীচে ট্রেন চালানো যে এখন কোনও মতেই সম্ভব নয়, মানছেন মেট্রো কর্তাদের অনেকেই। তাঁরা বলছেন, মাটির নীচে ট্রেন চালাতে গেলে বায়ু চলাচলের বিশেষ ব্যবস্থার পাশপাশি সুড়ঙ্গের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়টিও দেখতে হবে। মেট্রো সূত্রের খবর এপ্রিলের মাঝামাঝি বেঙ্গালুরুরর ভারত আর্থ মুভারস লিমিটেড (বিইএমএল) থেকে দু’টি রেক আসার কথা। শুরুতে ওই দুটি রেক দিয়েই কয়েক মাস ট্রায়াল রান চলবে। পরে আরও একটি রেক এলে তিনটি রেক নিয়ে পুজোর আগে সেক্টর-৫ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত নিয়মিত পরিষেবা দেওয়ার কাজ শুরু হবে।

ওই দূরত্বের মধ্যে সেক্টর-৫, করুণময়ী, সেন্ট্রাল পার্ক, সিটি সেন্টার, বেঙ্গল কেমিক্যাল ও সল্টলেক স্টেডিয়াম— এই ছ’টি স্টেশন রয়েছে। সেক্টর-৫ ছাড়া ওই রেলপথের কোথাও এক লাইন থেকে অন্য লাইনে ট্রেন যাওয়ার পরিকাঠামো তৈরি হয়নি।

এক মেট্রো কর্তার কথায়, “শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের কাজ শেষ না হলে ইস্ট-ওয়েস্টের ভবিষ্যৎ নিয়েই কিন্তু প্রশ্ন উঠবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন