বৈঠকেও কাটল না জমি-জট

৩৪ ও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর থেকে চাপ কমাতে কলকাতা থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৯ ০৩:১৯
Share:

বেহাল: দেগঙ্গার সোহায়বাজার এলাকায় এমনই হাল রাস্তার। বুধবার। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়

প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বুধবার জমি রক্ষা কমিটির আলোচনার পরেও কাটল না জমি-জট। ফলে রাজারহাট থেকে যশোর রোড পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের যে প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন, সেই কাজ ফের থমকে গেল। যদিও প্রশাসনের তরফে এ দিন দাবি করা হয়েছে, আটকে থাকা রাস্তার কাজ এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের শুরু করা হবে। অন্য দিকে, জমি রক্ষা কমিটিও এ দিন পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেছে, রায়তি (নিজস্ব মালিকানার) সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ না দিলে রাস্তার কাজও করতে দেওয়া হবে না।

Advertisement

৩৪ ও ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর থেকে চাপ কমাতে কলকাতা থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ করছে রাজ্য সরকার। রাজারহাট থেকে খড়িবাড়ি হয়ে রাস্তাটির বেলিয়াঘাটা, সোহায়বাজার, খোশদেলপুর হয়ে পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত যাওয়ার কথা। ওই রাস্তার প্রায় পুরো কাজ হয়ে গেলেও মাঝে দেগঙ্গার সোহায়বাজার এবং নিমতলা থেকে বেলিয়াঘাটা পর্যন্ত চার কিলোমিটার অংশের কাজ জমি-জটে থমকে রয়েছে। আর এই ডামাডোলে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই রাস্তার বিভিন্ন অংশ। খানাখন্দের পাশাপাশি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে ইট, পাথর। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আরজিল্লাপুর থেকে মোহনপুর পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তার কোনও উল্লেখ সরকারি মানচিত্রে নেই। জমি রক্ষা কমিটির সদস্য ইরাকুন হক বলেন, ‘‘সরকারি মানচিত্রে যেখানে রাস্তা আছে, সরকার তার সম্প্রসারণ করুক। ব্যক্তিগত জমি নিতে হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’

Advertisement

এ দিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, ভূমি কর্মাধ্যক্ষ এ কে ফারহাদ ও পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতে জেলা পূর্ত আধিকারিক এবং জমি আন্দোলনকারীরা আলোচনায় বসেন। নারায়ণবাবু বলেন, ‘‘১৪ কিলোমিটার রাস্তার দু’কিলোমিটার অংশ নিয়ে সমস্যা। যাঁরা সরকারি জমি দখল করে বসে আছেন, তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া যায় কি না, তা বিডিও-কে দেখতে বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন