প্রতীকী ছবি।
সরকারি খাতায় সেগুলি ‘সাইলেন্স জোন’। কিন্তু কান পাতা দায় মহানগরের হাসপাতালগুলির সামনে!
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সমীক্ষা বলছে, মানুষের ক্ষেত্রে শব্দের সহন মাত্রা যেখানে ৫০ ডেসিবেল, সেখানে এসএসকেএমে শব্দের গড় তীব্রতা ৭২ ডেসিবেল, এনআরএসে ৭১, মেডিক্যাল কলেজ এবং আর জি করে ৭০ এবং ন্যাশনাল মেডিক্যালে ৬৭। বেসরকারি হাসপাতালগুলির অবস্থাও তথৈবচ!
শব্দ দূষণের একটি মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালতেও এই সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিয়েছে পর্ষদ। তা দেখে বুধবার উষ্মা প্রকাশ করে বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। সচেতনতার অভাব এবং প্রশাসনিক গাফিলতিতেই এই দশা বলে মন্তব্য করেছে আদালত।
এই পরিস্থিতিতে উৎসবের মরসুমে মাইক বাজানো নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মহালয়া থেকে কালীপুজো-ছটপুজো পর্যন্ত যেন নির্বিচারে মাইক বাজাতে না দেওয়া হয়। প্রশাসনকেও সক্রিয় হতেও বলেছেন তাঁরা। মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘উৎসবের মরসুমে মাইক বাজানোয় ছাড় দেওয়া হয়। এই নির্দেশে হয়তো তা কিছুটা কমবে।’’
অনেকে অবশ্য বলছেন, উৎসবের মরসুমে কতটা স্বস্তি মিলবে তা তো সময় বলবে। যদি কিছুটা স্বস্তি মেলেও, তাতে বছরভর কতটা লাভ হবে? সোমবার রাখির দিনও বাইপাসের কাছে বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠানের অভিযোগ উঠেছিল। সেই পরিস্থিতি সামলানো হবে কী ভাবে?
এ দিন জাতীয় পরিবেশ আদালত জানিয়েছে, রাজপথে গাড়িচালকেরা নির্বিচারে হর্ন বাজান। অকারণে যাতে হর্ন না বাজানো হয়, তার জন্য চালকদের সচেতন করতে হবে। চালকদের নিয়ে পরিবহণ দফতর, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং পরিবেশ দফতরকে যৌথ ভাবে কর্মশালা করতে হবে। ‘সাইলেন্স জোন’ যাতে চালকেরা বুঝতে পারেন তার জন্য উজ্জ্বল হোর্ডিং বা বোর্ড লাগাতে হবে। ২৫ মে শুনানিতে সাউন্ড লিমিটার লাগাতে বলেছিল আদালত। এ দিন পর্ষদের কৌঁসুলি জানান, ওয়েবেলের একটি অধীনস্থ সংস্থা এই যন্ত্র নির্মাণ শুরু করেছে।