কখনও চুরি যাচ্ছে বুদ্ধমূর্তি। কখনও নিখোঁজ হচ্ছেন অফিসারই। তবু দু’শো বছরের পুরনো ভারতীয় জাদুঘরের নিরাপত্তার ভার সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিওরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ-কে দেওয়া হচ্ছে না। এ বারও বেসরকারি সংস্থার হাতেই যাচ্ছে নিরাপত্তা। এজেন্সি নিয়োগের জন্য দরপত্র চেয়েছেন জাদুঘর-কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় জাদুঘরে রয়েছে হাজার হাজার মহামূল্যবান প্রত্নসামগ্রী, পুথি ও শিল্পসামগ্রী। কিন্তু সেগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব এখনও বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার হাতেই। জাদুঘর সূত্রে খবর, নিরাপত্তা সংস্থা যাঁদের নিয়োগ করে, তাঁদের উপরে ভরসা করা ছাড়া উপায় নেই। অথচ কিছু সামগ্রী চুরি যাওয়ার পর সিআইএসএফের হাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব দিতে জাদুঘরের ভিতর থেকেই বারবার দাবি উঠেছে।
জাদুঘরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁক নিয়ে নানা সময়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। প্রশ্নটা জোরদার হয় ২০১৬ সালের অক্টোবরে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার এক নিরাপত্তারক্ষীর হয়ে অন্য এক জন ‘প্রক্সি ডিউটি’ করায়। অভিযোগ, যে নিরাপত্তা কর্মীর নাম কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে, তিনি না এসে নাম ভাঁড়িয়ে অন্য জন ডিউটি করতে আসেন এবং এক দর্শকের মানিব্যাগ চুরি করেন। সিসিটিভি দেখে ধরা পড়ে যান সেই ব্যক্তি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে শুধু সতর্ক করেই ছেড়ে দেন।
জাদুঘর সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের এক ইনস্পেক্টরের অধীনে একটি বেসরকারি সংস্থা রক্ষী পাঠায়। সেই সংস্থা থেকেই জাদুঘর-কর্তৃপক্ষ কর্মী নিয়োগ করেন। রক্ষীদের নামের তালিকা থাকে সিকিওরিটি অফিসার তথা জাদুঘর-কর্তৃপক্ষের কাছে। সিকিওরিটি অফিসার সিসি ফুটেজে সকলের উপরে নজর রাখেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রায় সব জায়গায় ক্যামেরা রয়েছে। সিআইএসএফ-কে দায়িত্ব দিতে আরও কিছু সময় দরকার।