মুখ্যমন্ত্রীর ক্লিনচিট দেওয়া এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধেও এ বার চিকিৎসায় গাফিলতি এবং বিল বাড়ানোর অভিযোগ দায়ের করল এক রোগীর পরিবার। সম্প্রতি স্বাস্থ্যভবনে ওই অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
লাগামছাড়া বিল নিয়ে সম্প্রতি বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় ছিল না আনন্দপুর এবং গড়িয়াহাটের ফর্টিস। যদিও রোগীর আত্মীয়ের অভিযোগের তালিকা থেকে বাদ পড়েনি এই বেসরকারি হাসপাতালও।
হাওড়ার বাসিন্দা রতু দত্তের পরিবার স্বাস্থ্যভবনে অভিযোগে জানান, ফর্টিস হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে মারা যান রতুদেবী। পরিবার সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে গত নভেম্বরে রাসবিহারী ফর্টিসে ভর্তি হন রতুদেবী। কিছু দিন পরে হাসপাতাল জানায়, তাদের আনন্দপুর শাখায় রোগিণীকে নিতে হবে। পরিজনেদের অভিযোগ, সেখানে বলা হয়, রতুদেবীর কিডনির সমস্যা থাকায় অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। এর জন্য দু’লক্ষ টাকা লাগবে বলা হলেও পরে তা দাঁড়ায় সাড়ে তিন লক্ষে। অস্ত্রোপচারের দু’দিন পরে রোগীকে বাড়ি পাঠানো হয়। বাড়ি ফেরার দিন কয়েক পরে অসুস্থ হন রতুদেবী। তাঁকে ফের আনন্দপুর ফর্টিসে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, রতুদেবীর কিডনিতে রক্ত জমে রয়েছে। এর পরেই অবস্থার অবনতি হতে থাকে ওই মহিলার। ২ ফেব্রুয়ারি মারা যান রতুদেবী। তাঁর পরিবারের আক্ষেপ, পাঁচ-ছ’লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও রতুদেবী সুস্থ হলেন না।
রতুদেবীর ননদ সুদীপ্তা কর জানান, ‘‘ফর্টিস কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও তাঁরা গুরুত্ব দেননি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ভরসা পেয়ে স্বাস্থ্যভবনে জানিয়েছি।’’ স্বাস্থ্যভবন জানা, বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। হাসপাতালের দোষ প্রমাণিত হলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।