Nusrat Jahan

নুসরত ইডি অফিস ছেড়ে বেরোলেন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর! কী কী প্রশ্ন এল? এক বাক্যে উত্তর দিয়ে গাড়িতে

নুসরতের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলার অভিযোগ এনেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। ইডির কাছেই সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। তার ভিত্তিতেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল সাংসদ অভিনেত্রীকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:১৯
Share:

ইডি দফতরে ঢোকার মুখে নুসরত জাহান। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।

সময়ের আগেই, বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ ঢুকেছিলেন ইডির দফতরে। ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ তথা টলিউড অভিনেত্রী নুসরত জাহান সেখান থেকে বেরোলেন ঠিক বিকেল ৫টা বেজে ১৫ মিনিটে। প্রায় সাড়ে ছ’ঘণ্টা ইডি দফতরে কী প্রশ্ন করা হয়েছে নুসরতকে? নায়িকা-সাংসদ সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে আসতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। উড়ে আসে একের পর এক প্রশ্ন। নুসরত অবশ্য সে সব প্রশ্নের জবাব একটিই কথায় দিয়ে সোজা গাড়িতে চেপে বেরিয়ে যান সিজিও চত্বর ছেড়ে।

Advertisement

সাংসদ অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। ইডির কাছেই সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর অভিনেত্রী নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন, তাঁর বিশ্বাস ইডি তাঁকে ডেকে পাঠাবে না। কারণ তিনি নির্দোষ। কিন্তু নুসরতের সেই ধারণা বাস্তবে মেলেনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ডেকে পাঠায় তাঁকে। মঙ্গলবার ছিল সেই দিন। নুসরতের হাজিরা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তিনি পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে।

নুসরতকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সকাল ১১টায়। তিনি সিজিওতে পৌঁছে যান ঠিক ১০টা বেজে ৪৮ মিনিটে। তাঁর পরণে ছিল গোলাপি কামিজ, গাঢ় গেরুয়া রঙের ওড়না। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা পরে খোলা চুলে নুসরত গাড়ি থেকে নেমেই সটান ঢুকে যান সিজিওর ভিতরে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁকে ঘিরে ভিড় জমালেও নুসরত কোনও কথা বলেননি। আর বেরনোর সময়ও যা বললেন, তা নামমাত্র।

Advertisement

বিকেল সোয়া ৫টা নাগাদ নুসরত যখন বাইরে বের হন, তখন একের পর এক প্রশ্ন উড়ে আসছিল তাঁকে লক্ষ্য করে। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় ইডি কী জানতে চাইল তাঁর কাছে? অনেকে এ-ও জিজ্ঞাসা করেন, তাঁকে আবার ইডি ডেকে পাঠিয়েছে কি না। নুসরত সরাসরি কোনও প্রশ্নের জবাব না দিয়ে শুধু বলেন, ‘‘ইডির দিক থেকে যা যা চাওয়ার, আমার দিক থেকে যা যা দেওয়ার, সব দেওয়া হয়ে গিয়েছে।’’ ব্যাস এটুকুই। এর পরই গাড়িতে উঠে বসেন বসিরহাটের সাংসদ এবং সিজিও কমপ্লেক্স ছেড়ে বেরিয়ে যান।

উল্লেখ্য, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে নুসরতের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই প্রতারণার ঘটনায় যে সংস্থার নাম জড়িত, নুসরত এক সময় তার ডিরেক্টর পদে ছিলেন। ২০১৪-১৫ সালে ৪০০-র বেশি প্রবীণ নাগরিকের থেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে নিয়েছিল এই সংস্থা। বদলে তাঁদের এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। যদিও তাঁরা সেই ফ্ল্যাট পাননি। টাকাও ফেরত পাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন