‘স্টোনম্যান’ নয়। ময়দানে মাথা থেঁতলে মহিলাকে খুনের পিছনে রয়েছে তাঁর সঙ্গী। মহম্মদ আলমগির নামে ওই সঙ্গীকে বুধবার রাতে চাঁদনি চক এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন ময়দান থানাক তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, সাত দিনের পরিচিত ওই মহিলাকে সন্দেহের বশেই ঘুমের মধ্যে পাথর দিয়ে খুন করেছে আলমগির।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাজারহাটের রায়গাছির বাসিন্দা আলমগির মৌলালি, ধর্মতলা-সহ বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতে থাকত।
ধৃতকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। ধৃতকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুরো ঘটনার পুনর্গঠনও করেছে পুলিশ।
১২ ফেব্রুয়ারি সকালে ময়দানের রাগবি মাঠের উত্তর দিক থেকে বছর ত্রিশের এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই মহিলার মাথার এক দিক থেঁতলানো অবস্থায় ছিল। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পারে, পাথর দিয়ে আঘাত করে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। কিন্তু পুলিশ জানতে পারে, এলাকায় ভবঘুরে বলে পরিচিত ছিলেন তিনি।
তদন্তকারীরা জানান, ওই দেহ উদ্ধারের পরেই ময়দান এলাকায় ভবঘুরেদের সঙ্গে কথা বলা হয়। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পরে এক জন জানান, ওই মহিলা ঘটনার সাত দিন আগে থেকে আলমগিরের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতেন। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, আলমগির ঘটনার পর থেকেই ময়দান এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। পরে বুধবার চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আলমগিরের সন্ধান
পান তদন্তকারীরা।
লালবাজারের দাবি, ধৃত জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছে, ঘটনার সাত দিন আগে ওই মহিলাকে ধর্মতলা
থেকে সে নিয়ে আসে। কিন্তু তিনি অন্য এক জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন সন্দেহে ১২ তারিখ রাতে সে মহিলাকে খুন করে। পুলিশের দাবি, ধৃত জানিয়েছে, ওই রাতে মদ্যপান করে এসে পাথর দিয়ে ঘুমন্ত মহিলার মাথা থেঁতলে দেয় সে।