পরিকাঠামো ও নজরদারি বাড়ানো, কড়া পদক্ষেপের পাশাপাশি সচেতনতার প্রসারে বিধাননগর পুলিশের প্রচার সত্ত্বেও দুর্ঘটনা কমছে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সল্টলেকে তিনটি পৃথক পথ-দুর্ঘটনায় ফের সামনে এল চালকের অসচেতনতা।
তিনটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক পথচারীর। আহত ছয়। পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে সাড়ে আটটা নাগাদ এএফ ব্লক থেকে একটি মোটরবাইক তীব্র গতিতে বৈশাখী আইল্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল। আইল্যন্ডের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি সমর সরকার (৪২) নামে এক পথচারীকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম হন সমরবাবু ও মোটরবাইক চালক অভিরঞ্জন কোলে। রবিবার আরজিকরে মৃত্যু হয় সমরবাবুর।
শনিবারই সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের এক নম্বর গেটের কাছে দু’টি বেসরকারি রুটের বাসের রেষারেষির মাঝে পড়ে আহন হন এক পথচারী। তিনি হাসপাতালে ভর্তি।
এর ঘণ্টাখানেক পরে পাঁচ নম্বর সেক্টরে একটি অটোকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে চার চাকার একটি গাড়ি। আহত হন অটোচালক ও তিন যাত্রী।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিধাননগরে গাড়ির চাপ বেড়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেপরোয়া যান চলাচলও। তুলনায় ট্র্যাফিক পুলিশের নজরদারি পর্যাপ্ত নয়। বিধাননগর এক পুলিশকর্তার দাবি, ট্র্যাফিককর্মীর সংখ্যা বেড়েছে। সিসিটিভি-সহ অন্যান্য পরিকাঠামোর সংস্কার হচ্ছে। তবু চালকদের একাংশের হুঁশ ফিরছে না। সচেতনতা প্রসারে আরও জোর দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।