সোনারপুরে চিকিৎসক মারধরে মঙ্গলবার এক ব্যক্তি গ্রেফতার হল। ধৃতের নাম প্রবীর মিস্ত্রি।
রবিবার রাতে এক মহিলাকে কটূক্তি করায় স্থানীয় মহিলারা একজোট হয়ে ওই চিকিৎসক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। সোনারপুর থানায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশের দাবি, পেশায় ভ্যানচালক প্রবীরও মহিলাদের সঙ্গে ছিল। তাই তাকে ধরা হয়েছে। প্রসেনজিৎবাবুর অভিযোগ ছিল, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিভাস মুখোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামীদের দাবি অনুযায়ী ৬০ হাজার টাকা না দেওয়াতেই এই হামলা। শ্লীলতাহানির মামলাটিও এই চক্রান্তেরই অঙ্গ। বিভাসবাবু অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
মঙ্গলবার সোনারপুর থানায় এসে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের কাউন্সিলর জড়িত বলে পুলিশ ঠিক তদন্ত করছে না। নিরপেক্ষ তদন্ত করতে বলেছি। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে।’’ শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রসঙ্গে রূপা বলেন, ‘‘মহিলার অভিযোগ হাস্যকর।’’ তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সভাপতি তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করছে। তার পরেই সব জানা যাবে।’’