পানীয় জল নিয়ে সরগরম পুর অধিবেশন

বাইরে চড়া রোদ, আর ভিতরে তখন চলছে পানীয় জলের অভাব নিয়ে বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ। জলের জোগান বেড়েছে বলে কলকাতা পুরসভা যে দাবি করে, তা মিথ্যা— এই অভিযোগে এ দিন ফাঁকা বালতি, কল ও কলের পাইপ নিয়ে পুরসভায় এসেছিলেন বিরোধী কাউন্সিলরদের অনেকেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৭ ০৩:৩৫
Share:

চাতক: পর্যাপ্ত পানীয় জল নেই। তাই ফাঁকা বালতি মাথায় বিক্ষোভ বিরোধী কাউন্সিলরদের। মঙ্গলবার, পুরভবনে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টচার্য।

বাইরে চড়া রোদ, আর ভিতরে তখন চলছে পানীয় জলের অভাব নিয়ে বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ।

Advertisement

জলের জোগান বেড়েছে বলে কলকাতা পুরসভা যে দাবি করে, তা মিথ্যা— এই অভিযোগে এ দিন ফাঁকা বালতি, কল ও কলের পাইপ নিয়ে পুরসভায় এসেছিলেন বিরোধী কাউন্সিলরদের অনেকেই। অধিবেশন কক্ষের বাইরে সেই ফাঁকা বালতি মাথায় নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

এ দিন অধিবেশন শুরু হওয়ার মুখেই নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত মেয়রের পদত্যাগ চেয়ে ওয়াক-আউট করেন বিজেপি কাউন্সিলরেরা। মেয়র সভায় আসতেই শুরু হয় প্রশ্নোত্তর। জলসঙ্কট নিয়ে প্রস্তাব পেশ করেন সিপিএমের মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী। বিরোধীরা এক যোগে জল নিয়ে সরব হন।

Advertisement

দক্ষিণ কলকাতা ও শহরতলির ৯৮, ৯৯ থেকে শুরু করে বেহালা, গার্ডেনরিচের একাধিক এলাকায় জলসঙ্কটের কথা শোনাতে থাকেন বাম কাউন্সিলরেরা। পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী তথা সিপিএম কাউন্সিলর রত্না রায় মজুমদার বলতে থাকেন, মেয়র দাবি করছেন পানীয় জলের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। কিন্তু সেই জল মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না।

জল সরবরাহ ব্যবস্থার ত্রুটি নিয়ে তথ্য পেশ করে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, ‘‘পলতা, গার্ডেনরিচ-সহ একাধিক প্রকল্প থেকে দৈনিক ৪৭০০ লক্ষ গ্যালন পরিস্রুত জল উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু তা মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না।’’ ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর দেবাশিস মুখোপাধ্যায় তাঁর এলাকায় জলকষ্টের কথা বলেন। ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্করের অভিযোগ, ‘‘জলসঙ্কটে ভুগছে শাসকদলের কিছু কাউন্সিলরের এলাকা। কিন্তু পুর বোর্ডের বদনামের ভয়ে কেউ কিছু বলছেন না।’’ খিদিরপুরের বাম কাউন্সিলর বিলকিস বেগমের অভিযোগ, ৭৫, ৭৬ ও ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডেও জলকষ্ট চলছে। বারবার জানিয়েও কোনও ফল হচ্ছে না।

বিরোধীদের কথা শোনার পরে মেয়র জবাব দিতে ওঠেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘গরমের সময়ে জলের যে চাহিদা বাড়ে, এটা ঠিক। তবে জলসঙ্কট নিয়ে মৃত্যুঞ্জয়বাবুরা যা বললেন, তা অসত্য।’’ শোভনবাবু বলেন, ‘‘আসলে ওঁরা (বিরোধীরা) জেগে ঘুমোন। ঘুমনোর ভান করেন। তাই পানীয় জল সরবরাহের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ ওঁদের নজরে পড়ে না।’’

এর পরেই তাঁদের অবজ্ঞা করা হচ্ছে, এই অভিযোগে বেরিয়ে যান বাম সদস্যেরা। তার পরে মেয়র জানান, শহরের কিছু এলাকায় জলের সমস্যা থাকতে পারে। তা দ্রুত মেটাতে ব্যবস্থাও নিচ্ছে পুরসভা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement