যমের দুয়ারে..: পথশিশুদের ভাইফোঁটা। শুক্রবার, শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের কাছে। নিজস্ব চিত্র
শুক্রবার সকালে দক্ষিণ শহরতলির নোদাখালি থানার ছবিটা ছিল বেশ অন্য রকম। থানার সামনে সারি দিয়ে রাখা চেয়ারে উর্দি পড়ে বসে পড়েছেন পুলিশকর্মীরা। আর সার দিয়ে তাঁদের ভাইফোঁটা দিচ্ছে অনাথ আশ্রমের শিশুরা।
ভাইফোঁটা উপলক্ষে এ দিন নোদাখালি থানা এলাকায় ডোঙারিয়ার একটি অনাথ আশ্রমে থাকা প্রায় শতাধিক শিশুকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তাদের থেকে অবশ্য শুধু ভাইফোঁটা নেওয়াই হয়নি। অনাথ আশ্রমের ছোট ছেলেদের ভাইফোঁটাও দিয়েছেন থানায় কর্মরত মহিলা পুলিশকর্মীরা। ছিল খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও। বিরিয়ানি-মিষ্টি তো ছিলই, ওই শিশুদের জন্য ছিল স্কুলব্যাগ, আঁকার খাতা, রং পেনসিলের বাক্স-সহ ভাইফোঁটার রকমারি উপহার।
কেন এই উদ্যোগ? থানার ওসি মৈনাক চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘পুলিশের চাকরিতে কোনও ছুটি নেই। বাড়ি যাওয়ার সুয়োগ নেই। তাই আমরা থানাতেই ভাইফোঁটার ব্যবস্থা করেছিলাম। আর এই অনাথ শিশুদেরও নিজের আত্মীয় বলতে কেউ নেই। তাই ওদের নিয়েই ভাইফোঁটার আয়োজন করেছি।’’ ভাইফোঁটা উপলক্ষে বাড়ি না যেতে পারার যন্ত্রণা কাটাতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন বলে জানাচ্ছেন কনকলতা মণ্ডল নামে এক মহিলা পুলিশকর্মী। নোদাখালি থানায় কর্মরত কনকলতার কথায়, ‘‘আমার ভাই আছে। কিন্তু আমার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। ছুটি নেই। তাই ওদেরই ফোঁটা দিলাম। এই ছেলেগুলোও তো আমার ভাইয়ের মতোই। ছুটি পেলে রাতে বাড়ির যাওয়ার চেষ্টা করব।’’