জরিমানা না-মেটানোয় জেল বাড়ির মালিক ও প্রোমোটারের

পুরসভা সূত্রের খবর, একবালপুর থানার ডক্টর সুধীর বসু রোডে পুরনো একটি তেতলা বাড়ির উপরে আরও দু’টি তল বাড়ানোর জন্য কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

অবৈধ নির্মাণের দায়ে বাড়ির মালিক ও প্রোমোটারের জরিমানা করেছিল কলকাতা পুর আদালত। সেই টাকা মেটাতে না পারায় জেলে পাঠানো হল তাঁদের। পাশাপাশি, একবালপুরের ওই অবৈধ নির্মাণ বুধবার ভেঙে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে পুর আদালত।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, একবালপুর থানার ডক্টর সুধীর বসু রোডে পুরনো একটি তেতলা বাড়ির উপরে আরও দু’টি তল বাড়ানোর জন্য কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। এ দিন কলকাতা পুর আদালত ওই দু’টি তল অবিলম্বে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট প্রদীপকুমার অধিকারী পুর কমিশনারকে ওই নির্দেশ দেন।

সূত্রের খবর, পুরসভার ৯ নম্বর বরোর অধীন ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে ওই তেতলা বাড়িটির মালিক মুস্তাক আহমেদ ও প্রোমোটার মহম্মদ
ইকবাল তৃতীয় তলের উপরে একটি তল তৈরি করে ফেলেছিলেন। আরও একটি তল নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ২০১৬ সালে বাড়িটি পরিদর্শন করতে গিয়ে বরোর ইঞ্জিনিয়ারেরা মালিক ও প্রোমোটারকে ওই দু’টি তল তৈরির জন্য পুরসভার অনুমোদন রয়েছে কি না, তা দেখাতে বলেন। তাঁরা অনুমোদন দেখাতে না পারায় কাজ বন্ধ রাখতে নোটিস পাঠানো হয়। পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তা সত্ত্বেও মালিক ও প্রোমোটার কাজ বন্ধ করেননি।

Advertisement

এ দিন সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট পুর কমিশনারকে তেতলার উপরের দু’টি তল ভাঙার নির্দেশ দেওয়ার
পাশাপাশি বাড়ির মালিক ও প্রোমোটারকে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। কিন্তু, জরিমানার টাকা তাঁরা মেটাতে পারেননি। সেই কারণে তাঁদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে পুরসভা সূত্রের খবর, জরিমানার টাকা মেটাতে পারলেই পুর আদালত মালিক ও প্রোমোটারকে মুক্তির নির্দেশ দেবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন