hanging

গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন বাবা-মা, নীচে খেলছে ছেলেমেয়ে!

ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন বাবা-মা। আর তাঁদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দুই সন্তান! ছেলেমেয়েকে খেলায় ব্যস্ত রেখে, কখন যে তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন, তা বুঝতেও পারেনি ভাইবোন।  শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানা এলাকার গড়িয়ার বৈষ্ণবপাড়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:২৮
Share:

তাপস নাইয়া এবং প্রিয়াঙ্কা নাইয়া। ফাইল চিত্র।

ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন বাবা-মা। আর তাঁদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দুই সন্তান! ছেলেমেয়েকে খেলায় ব্যস্ত রেখে, কখন যে তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন, তা বুঝতেও পারেনি ভাইবোন। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুর থানা এলাকার গড়িয়ার বৈষ্ণবপাড়ায়।

Advertisement

বাচ্চাদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখেন, ঘরের ভিতর থেকে তালা দেওয়া। ভিতরে দু‌’জনকে ও ভাবে ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করে। ওই দুই শিশু এখন প্রতিবেশীদের কাছেই রয়েছেন। কেন তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন, সে বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।

মৃতদের নাম তাপস নাইয়া (২৯) এবং প্রিয়াঙ্কা নাইয়া (২৪)। ২০১৩ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী তাপসের সংসারে সম্প্রতি আর্থিক অনটন চলছিল বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে। এ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলাও হয়। আত্মহত্যার নেপথ্যে আর্থিক অনটনই একমাত্র কারণ কি না, তা খতিয়ে দেখছে সোনারপুর থানার পুলিশ।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাটুলির বাড়িতে মিলল স্কুলপড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ

প্রতিবেশীরা জানান, দু’জনের মধ্যে ভাল সম্পর্কই ছিল। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও তাঁরা ভাল ব্যবহার করতেন। তবে সম্প্রতি নিজেদের মধ্যে কোনও কারণে ঝামেলা চলছিল। সে জন্য কেউ এ ভাবে আত্মহত্যা করতে পারে, তা ভাবতেই পারছেন না প্রতিবেশীরা। ওই দম্পতির ছেলেমেয়ের কী হবে? মাত্র পাঁচ বছর বয়স ছেলেটার। মেয়েটা তার থেকেও ছোট। ফলে ওদের ভবিষ্যৎ নিয়েই এখন চিন্তিত প্রতিবেশীরা। পুলিশ ওই দম্পতির আত্মীয়পরিজনের সন্ধান করছে।

আরও পড়ুন: ট্যাঙ্কারের চাকায় পিষ্ট তরুণী

(শহরের প্রতি মুহূর্তের সেরা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন