এ যেন এক অন্য পার্থ। অনেক শান্ত, অনেক ধীর।
পাভলভে নিয়ে আসার পর থেকেই তিনি বলছিলেন, তাঁকে মাদার হাউজে রাখা হোক। দাবি করেন, তিনি পাগল নন। তাঁকে পাভলভে রাখার যৌক্তিকতা নিয়েও সওয়াল করেন পার্থ।
বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে পাভলভে আনার পর একেবারেই স্বাভাবিক ছিল না পার্থর আচরণ। সারা রাত কাটিয়েছিলেন চেয়ারে বসে। অদ্ভুত ব্যবহার করেছিলেন মনোবিদদের সঙ্গেও। শনিবার কিন্তু একেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল দে পরিবারের একমাত্র এই জীবিত সদস্যকে। স্নান করলেন, স্বাভাবিক ভাবে খাওয়া দাওয়া সারলেন, এমনকী খানিকটা খোশ গল্পও করলেন হাসপাতালের অন্য রোগীদের সঙ্গে। গত কাল দেখা গিয়েছিল পার্থর হাতে-পায়ে নখ বড় হয়ে নোংরা হয়ে গিয়েছে। এ দিন কিন্তু দেখা গেল বেশ যত্ন করেই নখ কেটেছেন তিনি।
তবে তাঁর পুরনো বক্তব্যে এখনও অনড় পার্থ। এ দিনও তিনি বলেন, “এটা আমার থাকার জায়গা নয়। মাদার হাউজে যদি একান্ত রাখা সম্ভব না হয়, তবে সেখনকার কোনও সিস্টারের সঙ্গে যেন আমাকে কথা বলিয়ে দেওয়া হয়। আমার শান্ত জায়গা ভাল লাগে।”