প্রতীকী ছবি।
পিস্তল ও গুলি নিয়ে বিমানে ওঠার আগে এক যাত্রীকে গ্রেফতার করা হল কলকাতা বিমানবন্দর থেকে। বিমান ছিনতাইয়ের জন্য তিনি পিস্তল নিয়ে ওঠার চেষ্টা করছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বিশ্বের সব বিমানবন্দরেই বিমানে ওঠার আগে যাত্রীদের দেহ ও হাতব্যাগ তল্লাশি করা হয় প্রধানত বিমান ছিনতাই আটকাতেই। তাই হাত ব্যাগে ফল কাটার ছুরি, কাঁচি বা ধারালো কোনও সামগ্রী নিয়ে উঠতে দেওয়া হয় না। ভারতের সমস্ত বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ-কে তাই ‘অ্যান্টি হাইজ্যাকিং ইউনিট’ বলা হয়।
পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষী বা আগ্নেয়াস্ত্রর লাইসেন্স রয়েছে এমন যাত্রীর সঙ্গে রিভলভার, পিস্তল, গুলি থাকলে বিমান পরিবহণের নিয়ম অনুযায়ী আগে তাঁকে উড়ান সংস্থাকে বিষয়টি জানাতে হয়। লাইসেন্স-সহ সেই আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উড়ান সংস্থার হাতে তুলে দিতে হয়। সেই যাত্রী গন্তব্যে পৌঁছনোর পরে তিনি সেগুলি ফেরত পান।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
শুক্রবার সকালে কলকাতা থেকে ইন্ডিগোর উড়ানে চেন্নাই যাওয়ার আগে বাবলু মুন্ডা নামে এক যাত্রীর হাতব্যাগ পরীক্ষা করতেই বেরিয়ে পড়ে পয়েন্ট ৩২ বোরের একটি পিস্তল। সঙ্গে সাতটি তাজা গুলি। সেই গুলি ও পিস্তলের কথা তিনি আগে উড়ান সংস্থাকে জানাননি। এমনকি, ওই পিস্তল বা গুলির কোনও লাইসেন্সও তাঁর কাছে ছিল না। বাবলুর বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। কেন তিনি সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিমানে উঠতে যাচ্ছিলেন, তারও সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। ওই দিনই বাবলুকে তুলে দেওয়া হয় বিমানবন্দর থানার হাতে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।