জঞ্জালে জেরবার বিধাননগরবাসী

বিধাননগর পুরসভায় নতুন বোর্ড আসার পর এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজে গতি এসেছিল। অভিযোগ, কয়েক মাসেই পুরনো ছবি ফিরে এসেছে সল্টলেক, বাগুইআটি-সহ কিছু এলাকায়।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৭ ০১:৩৯
Share:

ছিছি: আবর্জনা পেরিয়েই চলছে যাতায়াত। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

বিধাননগর পুরসভায় নতুন বোর্ড আসার পর এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজে গতি এসেছিল। অভিযোগ, কয়েক মাসেই পুরনো ছবি ফিরে এসেছে সল্টলেক, বাগুইআটি-সহ কিছু এলাকায়।

Advertisement

সল্টলেকের ১৪টি ওয়ার্ড এবং রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডের এই সমস্যা মানতে নারাজ বিধাননগর পুর-কর্তৃপক্ষ। কর্মীদের বক্তব্য, সল্টলেকের কিছু জায়গায় সমস্যা আছে তা মেটাতে চেষ্টা চলছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবর্জনা সংগ্রহ, রাস্তা সাফাইয়ের কাজ ভালই চলছিল। কিন্তু ফের কাজের গতি কমেছে। সিজিও কমপ্লেক্সের কাছে, ফাল্গুনি আবাসনের রাস্তায়, কেষ্টপুর খাল ও ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের পাড়-সহ বেশ কিছু জায়গায় পড়ে থাকা আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

পুরসভা সূত্রের খবর, ৪১টি ওয়ার্ডে ১০০০ জন সাফাইকর্মী আছেন। প্রতি দিন ৫৫ টি গাড়ি সাফাইয়ে নামে। আরও ২০টি গাড়ির মেরামতি চলছে। কর্মী বা গাড়ির অভাব নেই বলে দাবি পুরকর্তাদের। তাঁদের দাবি, সল্টলেকে তিনটি মোবাইল কম্প্যাক্টর এবং তিন জায়গায় স্থায়ী কম্প্যাক্টর বসানোর কাজ চলছে। রাজারহাটেও কম্প্যাক্টর মেশিন বসানো হচ্ছে। এক পুর আধিকারিক জানান, গরমে কর্মীদের কাজের সময় পরিবর্তন হয়েছে। এতে সাময়িক সমস্যা হচ্ছে।

Advertisement

রাজারহাটের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, পুর-এলাকার কোথাও কোথাও অন্ধকারে কেউ বর্জ্য ফেলে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে এক পুরকর্তা জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করবেন। বিধাননগরের মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘রাজারহাটের আবর্জনা সংগ্রহ সাবেক পদ্ধতি ছিল। সেই পরিকাঠামো বদলানো হয়েছে। সল্টলেক থেকে বর্জ্য নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। খোঁজ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন