সল্টলেকে ‘শ্লীলতাহানি’

উদ্যোগই সার, অটো এখনও অবাধ্য

এক দিকে অটো ইউনিয়ন এবং অন্য দিকে পুলিশ-প্রশাসন, উভয় পক্ষই অটোচালকদের সচেতন করতে বিভিন্ন সময়ে কর্মশালা করেছে। ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙলে আইনি পদক্ষেপও করছে পুলিশ। অটো ইউনিয়নের নেতাদেরও দাবি, অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০৪
Share:

এক দিকে অটো ইউনিয়ন এবং অন্য দিকে পুলিশ-প্রশাসন, উভয় পক্ষই অটোচালকদের সচেতন করতে বিভিন্ন সময়ে কর্মশালা করেছে। ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙলে আইনি পদক্ষেপও করছে পুলিশ। অটো ইউনিয়নের নেতাদেরও দাবি, অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও চালকদের একাংশ যে সব কিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যথেচ্ছাচার চালিয়ে যাচ্ছেন, মঙ্গলবার রাতে সল্টলেকে চলন্ত অটোয় এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে ফের তা সামনে এল। পাশাপাশি, প্রশ্ন উঠল সল্টলেকে রাতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও। ওই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য ধরা পড়েছে অটোচালক। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম সমর সেন। তার বাড়ি মানিকতলায়। এ দিন বিধাননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক সমরকে ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

ঘটনাটি ঠিক কী? ওই কলেজ ছাত্রী পুলিশকে অভিযোগে জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ লাবণি আইল্যান্ডে শিক্ষকের কাছে পড়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময়ে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিল করুণাময়ী-কাঁকুড়গাছি রুটের একটি অটো। অটোর পিছনে তিন জন যাত্রী বসে থাকায় তিনি সামনের সিটে বসেন।

পুলিশ জেনেছে, করুণাময়ী থেকে বিধাননগর পুরসভার মধ্যেই ওই তিন যাত্রী নেমে যান। অভিযোগ, তার পরেই চালক গাড়ির গতি কমিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে অভব্যতা শুরু করে। আতঙ্কে অটো থেকে নেমে চিৎকার করতে থাকেন তরুণী। বেগতিক দেখে অটো নিয়ে পালায় সমর। ওই ছাত্রী তখন বিধাননগর মহিলা পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করেন। দ্রুত পুলিশ পৌঁছয়। এর পরে ওই ছাত্রী বিধাননগর দক্ষিণ থানায় চালকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

বাসিন্দাদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, মুখে অটো ইউনিয়নের নেতারা বড় বড় দাবি করলেও বাস্তব ছবিটা ঠিক উল্টো। চালকদের অনেকেই যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের ‘দাদাগিরিও’ সহ্য করতে হয় যাত্রীদের। বিধাননগরে অটো ইউনিয়নের নেতৃত্বও জানিয়েছেন, এমন ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তবে তাঁদের দাবি, চালকেরা যাতে যাত্রীদের সঙ্গে মার্জিত ব্যবহার করেন, সে জন্য লাগাতার প্রচার চালানো হয়। তার পরেও একাংশের হুঁশ ফিরছে না।

পাশাপাশি মঙ্গলবারের ঘটনায় রাতে মহিলারা সল্টলেকে কতটা নিরাপদ, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিধাননগরের এক পুলিশ কর্তা অবশ্য জানান, নজরদারি আগের চেয়ে বাড়ায় এই ধরনের অপরাধ রোখা অনেকটাই সম্ভব হয়েছে। তবে নজরদারির মাত্রা আরও বাড়ানো হবে। কড়া পদক্ষেপও করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন