রাজারহাট পেরিয়ে সিন্ডিকেট আগেই ঢুকেছিল সল্টলেকে। এ বার তার থাবা তিলজলাতেও। অভিযোগ, নির্মীয়মাণ বাড়িতে ঢুকে টাকা চাওয়া এবং হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তির উপরে চড়াও হল স্থানীয় যুবকদের একটি দল। আক্রান্তকে বাঁচাতে গেলে বাড়ির মহিলাদের মারধর, শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা হল বলে অভিযোগ। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও কেউ ধরা পড়েনি। আহত ন্যাশনাল মেডিক্যালে ভর্তি।
পুলিশ জানায়, চৌবাগা রোডে বিধাননগর সাউথ এলাকায় বাড়ি শঙ্কর বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তির। তাঁর ভাই শ্যামল বিশ্বাস তিন বন্ধুর সঙ্গে বাড়ির পাশেই ছ’কাঠা জমি কিনে প্রোমোটারকে দিয়েছিলেন। অভিযোগ, রবিবার সেই নির্মীয়মাণ বাড়িতে চড়াও হয় স্থানীয় কয়েক জন। শঙ্করবাবু গেলে তাঁর কাছে টাকা চায় তারা। রাজি না হওয়ায় ওই যুবকেরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। বাড়ির মহিলারা শঙ্করবাবুকে বাঁচাতে এলে তাঁদেরও মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয় বলে থানায় অভিযোগে জানিয়েছে পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০০৭-এ বন্ধু দুলাল দে ও প্রভাস পাল চৌধুরীর সঙ্গে জমিটি কেনেন শ্যামলবাবু। একসঙ্গে থাকার পরিকল্পনা করে বছর দেড়েক আগে জমিটি প্রোমোটারকে দেন তাঁরা। শ্যামলবাবুর অভিযোগ, শুরু থেকেই ইমারতি দ্রব্য চুরি হচ্ছিল। তাই সম্প্রতি পাঁচিল দেওয়া শুরু করেন তাঁরা। তখন থেকেই অল্পবিস্তর হুমকি আসছিল। এক দিন ওই যুবকের দল এসে টাকা না পেলে কাজ বন্ধের হুমকিও দিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
শঙ্করবাবুদের ছোট ভাই বিতানবাবু বলেন, ‘‘এই দলটিকে রাতে বাইকে ঘুরতে দেখা যায়। সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত না হলেও ক্ষমতাসীন দলের পরিবৃত্তেই থাকে এরা।’’ অভিযোগ, এ দিন ১০-১২ জনের দলটি এসে মিস্ত্রিদের কাজ বন্ধ করতে বলে। শাসানি দেয়, টাকা না দিলে কাজ করতে দেওয়া হবে না। শঙ্করবাবু প্রতিবাদ করলে তাঁকে ঘিরে ধরে ওই যুবকেরা। এর পরেই ওই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে গেলে ওই যুবকেরা পালায়। শঙ্করবাবুর পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তিলজলা থানা।