জট: ধর্মতলায় বিজেপি-র মিছিল। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারি চেয়ে পথে নামল বিজেপি। আর তার জেরে বুধবার চরম নাকাল হলেন সাধারণ মানুষ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এস এন ব্যানার্জি রোড বন্ধ করে দিল পুলিশ। ওই রাস্তার উপরে বেশ কিছু দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিজেপি-র মিছিলের জেরে লেনিন সরণি থেকে মৌলালি, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে জওহরলাল নেহরু রোড — যানজট ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয় বিজেপি-র মিছিল। হাজারখানেক কর্মীর ওই মিছিল নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট হয়ে সওয়া দু’টো নাগাদ এস এন ব্যানার্জি রোডে এসে পৌঁছয়। এর জেরে যানজট শুরু হয় লেনিন সরণি ও মৌলালিতে। অধিকাংশ গাড়ি এজেসি বসু রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এস এন ব্যানার্জি রোড সংলগ্ন মতি শীল স্ট্রিট এবং একাধিক রাস্তা গার্ড রেল দিয়ে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয় কলকাতা পুরসভার প্রধান ফটকও। ফলে গাড়ির বাড়তি চাপ পড়ে লেনিন সরণির উপরেই।
ধর্মতলায় যানজট এড়াতে ডোরিনা ক্রসিংয়ের আগে মোট তিনটি ব্যরিকেড করেছিল পুলিশ। কলকাতা পুরসভার কাছে এবং মতি শীল স্ট্রিট সংলগ্ন রাস্তায় পুলিশকর্মীরা সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ব্যারিকেড তৈরি করেন। তার কিছু পরেই ডোরিনা ক্রসিংয়ের আগে লোহার ব্যারিকেড এবং গার্ড রেল দিয়ে মিছিলের পথ আটকায় পুলিশ। প্রথম দু’টি ব্যারিকেড ঠেলে মিছিল এগিয়ে যায়। তখন বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয় পুলিশের। আচমকাই পাশের গার্ড রেল
ভেঙে মিছিলের একাংশ এসে পড়ে ডোরিনা ক্রসিংয়ের কাছে। স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি-র কর্মী এবং সমর্থকেরা।
মিছিল শেষের পরেও কর্মী-সমর্থকেরা গোটা ডোরিনা ক্রসিং জুড়ে থাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। সেই জট ছাড়াতে বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নামে। সব মিলিয়ে মিছিলের চাপে রাস্তায় আটকে ঘণ্টা দুয়েকেরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় নিত্যযাত্রী এবং সাধারণ মানুষকে।