মেট্রোর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মেট্রো নেটওয়ার্ক এখন ভারতে। কলকাতার গণপরিবহণের খরচ আরও কমল। যাতায়াতের আরও সুবিধা হল। শিয়ালদহ, হাওড়ার মতো ব্যস্ত রেলস্টেশনের সঙ্গে মেট্রো জুড়ে গেল। তার ফলে ঘণ্টার সফর এখন কয়েক মিনিটে হয়ে যাবে। একই ভাবে বিমানবন্দর থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া সহজ হল।’’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ আর একবার বাংলার উন্নয়নের গতি দেওয়ার সুযোগ পেলাম। সকলেই খুশি যে কলকাতার গণপরিবহণ আধুনিক হচ্ছে। কলকাতাবাসী, বাংলাবাসীকে অনেক শুভেচ্ছা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘দমদম, কলকাতা শহরের ভূমিকা অনেক বড়। এই আয়োজন হল আজকের ভারতের শহরের পরিকল্পনা কী ভাবে হচ্ছে।’’
‘‘কলকাতা মেট্রো আগে ২৮ কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল। এখন প্রধানমন্ত্রী ৩৯ কিলোমিটার সম্প্রসারণ করেছেন। আরও ২২ কিলোমিটার সম্প্রসারণ হবে।’’ বস্তুত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনটি সম্প্রসারিত মেট্রো রুটের উদ্বোধনের পাশাপাশি হাওড়া স্টেশনের একটি সাবওয়েরও উদ্বোধন করেছেন। এই সাবওয়ের মাধ্যমে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের সঙ্গে হাওড়া স্টেশনের সরাসরি যুক্ত করা হয়েছে। হাওড়া মেট্রো স্টেশনে যাত্রীরা নেমে সাবওয়ে ব্যবহার করে হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের বাইরের গেটে চলে আসতে পারবেন। সেখান থেকে যাত্রীরা হাওড়া স্টেশনের ১ থেকে ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যেতে পারেন। প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে টিকিট কাউন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে শহরতলীতে যাওয়ার ট্রেনের টিকিট কিনতে পারবেন যাত্রীরা। একইভাবে মেট্রো থেকে বেরিয়ে যাত্রীরা পায়ে হেঁটে হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সের ১৭ থেকে ২৩ নম্বর প্লাটফর্মে যেতে পারবেন। এ ছাড়াও হাওড়া স্টেশন থেকে যাত্রীরা খুব সহজেই মেট্রো রেল ধরে শিয়ালদহ, সেক্টর ফাউভ ও কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবেন।
দমদমে সভাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাগত ভাষণে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, ‘‘আজ চিরস্মরণীয় দিন। ভারত জুড়ে একের পর এক উন্নয়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে নবজাগরণ হচ্ছে মোদীজির নেতৃত্বে।’’ প্রধানমন্ত্রীর প্রশংশায় শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘‘১৭০০ কোটি টাকা খরচে বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে। কর্মজীবনে উনি অন্য একটি জায়গা তৈরি করে ফেলেছেন।’’
আর কিছু ক্ষণের অপেক্ষা। প্রধানমন্ত্রীর কনভয় পৌঁছবে দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে। উচ্ছ্বাস তুঙ্গে কর্মী এবং সমর্থকদের।
যশোর রোড মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে পড়ল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। এ বার তাঁর গন্তব্য দমদমের সেন্ট্রাল জেলের ময়দান।
প্রধানমন্ত্রী সবুজ পতাকা নেড়ে উদ্বোধন করলেন সম্প্রসারিত মেট্রোর। রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য, শান্তনু ঠাকুরেরা।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন সম্প্রসারিত মেট্রো লাইনের। এর পর রয়েছে মেট্রো-যাত্রা এবং সভা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানে বক্তব্য করছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা।
বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বিমানবন্দর থেকে কনভয় নিয়ে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সম্প্রসারিত মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধনে তিনি আমন্ত্রিত। তবে উপস্থিত থাকছেন না। প্রধানমন্ত্রী কলকাতায় ঢোকার আধ ঘণ্টা আগে স্মৃতিতে ডুব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, মেট্রোর এই দিনটি নিয়ে তিনি নস্টালজিক। মমতা লেখেন, ‘‘দেশের রেলমন্ত্রী হিসাবে আমি মেট্রোপলিটন কলকাতায় মেট্রো রেলওয়ের করিডোরের পরিকল্পনা এবং অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাগ্যবান। আমি ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করেছি, তহবিলের ব্যবস্থা করেছি, কাজ শুরু করেছি এবং নিশ্চিত করেছি যে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত (জোকা, গড়িয়া, বিমানবন্দর, সেক্টর ফাইভ ইত্যাদি) একটি আন্তঃনগর মেট্রো গ্রিডের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়। পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমি প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। রাজ্য থেকে আমি বিনামূল্যে জমির ব্যবস্থা করেছি, পাকা রাস্তা তৈরি করেছি, বাস্তুহারাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছি। প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা দূর করে বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহায়তা নিশ্চিত করেছি। আমাদের মুখ্যসচিবরা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সমন্বয় রক্ষার বৈঠক করেছেন। রেলমন্ত্রী হিসেবে আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। মেট্রোর পরিকাঠামো সম্প্রসারণ আমার জন্য একটি দীর্ঘ যাত্রা ছিল। আজ আমাকে কিছু স্মৃতিচারণ করতে দিন।’’
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ৫২০০ কোটিরও বেশি টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করবেন শুক্রবার। জনসভা শুরুর আগে সেন্ট্রাল জেল ময়দানে প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে তিনি শিলান্যাস করবেন ছয় লেনের এলিভেটেড কোনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের। ৭.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করতে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
বিকেল ৪টে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে প্রথমে মোদী যাবেন নবনির্মিত যশোহর রোড মেট্রো স্টেশনে। ইয়েলো লাইনের (নোয়াপাড়া-বারাসত) নোয়াপাড়া থেকে জয়হিন্দ বিমানবন্দর অংশে মেট্রো চলাচলের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। ওই স্টেশন থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে অরেঞ্জ লাইনের (নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর) হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন (রুবি) থেকে বেলেঘাটা স্টেশন এবং গ্রিন লাইনের (সেক্টর ফাইভ-হাওড়া ময়দান) এসপ্ল্যানেড স্টেশন থেকে শিয়ালদহ স্টেশন অংশে মেট্রো চলাচলের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। তার পরে যশোহর রোড স্টেশন থেকে মেট্রো চড়ে তিনি জয়হিন্দ বিমানবন্দর স্টেশন পর্যন্ত যাবেন। আবার মেট্রোতেই যশোহর রোড ফিরবেন। তার পরে সড়কপথে প্রধানমন্ত্রী যাবেন দমদম সেন্ট্রাল জেল ময়দানের সভাস্থলে।
প্রথমে প্রশাসনিক সভা, যেখানে একাধিক সরকারি প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর রাজ্য বিজেপির আয়োজিত ‘বিজয় সঙ্কল্প’ সভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ, প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক, দু’রকম কর্মসূচি নিয়েই রাজ্য সফরে প্রধানমন্ত্রী।
কলকাতা মেট্রোর তিনটি সম্প্রসারিত লাইনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বিকেল ৪টেয় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে যাওয়ার কথা তাঁর। তার পর তিনটি মেট্রোর তিনটি সম্প্রসারিত লাইনের সূচনা করবেন। তার পর যশোর রোড স্টেশন থেকে উদ্বোধন করা মেট্রোয় দমদম বিমানবন্দর স্টেশনে যাওয়ার কথা। ওই মেট্রো করেই মোদী ফিরে যাবেন যশোর রোড স্টেশনে। তার পরের গন্তব্য দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠ। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, বিকেল পৌনে ৫টায় দমদমে জোড়া কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।