বাতিস্তম্ভ আছে, কিন্তু বাতি নেই। খানাখন্দে ভরা রাস্তা। নিকাশির হালও তথৈবচ। শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড এলাকার এমন হাল পুজোর আগে ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে। পুজোর আগে শহরের প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার পুরসভার এক বৈঠকে ডাক পেয়ে পুরকর্তাদের এই সব কথাই শোনাল পুলিশ। সে সব অবশ্য মেনেও নিয়েছে পুর-প্রশাসন।
এ দিন পুরসভার মেয়র, পুর-কমিশনার এবং মেয়র পারিষদদের উপস্থিতিতে শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডের রাস্তা, আলো এবং নিকাশির কাজ করার সিদ্ধান্ত নিল পুর প্রশাসন। পুলিশ ছাড়াও ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন কেএমডিএ, সিইএসসি, পূর্ত দফতর, সেচ দফতর, কেআইটি, কেইআইপি দফতরের পদস্থ কর্তারা।
কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, রাস্তাঘাট, আলো, নিকাশি এ সব সারানোর দায়িত্ব পুরসভার হলেও পুজোর সময়ে সব সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় পুলিশকেই। তা আন্দাজ করেই এ দিন পুলিশের ট্রাফিক দফতরের একাধিক কর্তা রাস্তা ও নিকাশির হাল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বৈঠকে বাতিহীন বাতিস্তম্ভের কথা তোলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, ডায়মন্ড হারবার রোডে বেশ কয়েকটি জায়গায় রাস্তা অন্ধকার থাকে। বাতি না-থাকাই এর প্রধান কারণ। এর ফলে পথচলতি সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। একই অবস্থা ডি এল খান রোড থেকে ভিক্টোরিয়া এলাকাতেও। তবে যাঁরা ওই দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা কেন সময়ে ওই কাজ করেন না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোন ওয়ার্ডের কোন এলাকায় রাস্তা, নিকাশি এবং আলোর সমস্যা রয়েছে তা খুঁজে দেখতে হবে। এর জন্য কলকাতা শহরের ১৫টি বরোর পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে সরেজমিন দেখে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে।
মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন, বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আপাতত ১১০টি ছোট-বড় রাস্তা সারানো হবে। পুজোর আগেই নির্দিষ্ট সময়ে ওই সমস্ত রাস্তার খানাখন্দ মেরামত করা হবে। ২৫ অগস্ট ফের বৈঠক হবে পুরসভায়। সেখানে বরোর এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতেই কাজ শুরু হবে বলে জানান সুশান্তবাবু।