Bhawanipore

ভবানীপুরে বৃদ্ধকে ধাক্কা মেরে মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার আইনজীবী, আদালতে জামিন

পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকেই কার্যত গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। অন্য দিকে, তড়িৎবাবুর আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, তড়িৎবাবু সোমবার সকালে নিজেই থানায় যান। তার পর পুলিশ কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৩৭
Share:

অভিযুক্ত আইনজীবী তড়িৎ শিকদার। নিজস্ব চিত্র।

টানা হর্ন বাজানোর প্রতিবাদ করায় এক প্রৌঢ়কে রাস্তার উপর ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ঘটনার চার দিন পর ভবানীপুরের ওই প্রৌঢ় রমেশ বহেলের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত আইনজীবীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত তড়িৎ শিকদার আলিপুর আদালতের আইনজীবী। তিনি ভবানীপুর এলাকারই বাসিন্দা। তবে পরে ২০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন পেয়েছেন। পাশাপাশি এক দিন অন্তর তাঁকে তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে।

Advertisement

পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকেই কার্যত গায়েব হয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। অন্য দিকে, তড়িৎবাবুর আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, তড়িৎবাবু সোমবার সকালে নিজেই থানায় যান। তার পর পুলিশ কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে।

ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। ভবানীপুরের বকুলবাগান রোডের বাসিন্দা ৬৫ বছরের রমেশ বহেল একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার। তাঁর গাড়ির চালক বিজয় সাহনি ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ওই দিন বেলা ১ টা নাগাদ তিনি বহেলকে কড়েয়ার অফিসে নিয়ে যেতে গাড়ি নিয়ে রমেশের বাড়ি পৌঁছন। যখন রমেশ গাড়িতে উঠছিলেন তখন পিছন থেকে একটি লাল গা়ড়ি আসে। সেই গাড়িটি লাগাতার হর্ন দিতে থাকে। এর পর রমেশের গাড়িতে ধাক্কা মারে। রমেশ গাড়ি থেকে নেমে ওই গাড়ির চালককে ধাক্কা মারার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। অভিযোগ, এর পর ওই গাড়ির চালক গাড়ি থেকে নেমে আসেন এবং রমেশের সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়ে যায়। বচসার মাঝেই রমেশকে ওই ব্যক্তি ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। রাস্তায় পড়ে যান রমেশ। তাঁর মাথার পিছন দিকে আঘাত লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তিনি সংজ্ঞা হারান।

Advertisement

বিজয় দ্রুত রমেশের পরিবারকে ফোন করে জানান গোটা ঘটনা এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানিয়ে দেন। এর পর এসএসকেএম হাসপাতালে সরকারিভাবে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন: ৩ মৃত্যুর বদলা, ভারতীয় সেনার পাল্টা হানায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হত ২০

আরও পড়ুন: বন্ধুকে গুলি করে সে-ই, দাবি প্রিন্সের

বিজয় সাহনি নিজের অভিযোগে জানিয়েছেন, তাড়াহুড়োয় ওই গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের শেষের চারটি নম্বর তিনি দেখতে পেয়েছিলেন। পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর অজ্ঞাত পরিচয় চালকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (২) ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করে। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে কোনও সিসি ক্যামেরা না থাকলেও ওই রাস্তায় অন্য একটি জায়গা থেকে তাঁরা ফুটেজ সংগ্রহ করে লাল গাড়িটিকে চিহ্নিত করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন