ফুলবাগানে বধূ-মৃত্যুতে গ্রেফতার ৩

শুক্রবার রাতে শ্বশুরবা়ড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় রূপালি দাসকে। পরে এনআরএসে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তের রিপোর্টে মৃতার পাকস্থলীতে বিষ মিলেছে। শুক্রবার রাতে মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে শনিবার ফুলবাগান থানায় জামাই, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা কিশোরচন্দ্র সাউ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ০০:২৭
Share:

রূপালি দাস।

ফুলবাগানে বধূ হত্যার ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকেলে ফুলবাগানের শ্রীকৃষ্ণ দাঁ লেনের বাড়ি থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম মণীশ দাস, প্রদীপ দাস ও শিপ্রা দাস। ধৃতদের আজ, সোমবার আদালতে তোলা হবে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে শ্বশুরবা়ড়িতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় রূপালি দাসকে। পরে এনআরএসে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানায়, ময়না-তদন্তের রিপোর্টে মৃতার পাকস্থলীতে বিষ মিলেছে। শুক্রবার রাতে মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে শনিবার ফুলবাগান থানায় জামাই, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার বাবা কিশোরচন্দ্র সাউ। পুলিশ জানিয়েছে, রূপালির শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়ি কাছাকাছি। মেয়েকে অকালে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন রূপালির বাবা-মা। তাঁদের দাবি, গত ফেব্রুয়ারিতে মেয়ের বিয়ে হওয়ার পরেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার উপরে নানা ভাবে অত্যাচার করতেন। মেয়ের খুনিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন মৃতার বাবা-মা। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মণীশের সঙ্গে রূপালির ঝগড়া হয়। তার পরেই রূপালি বাবার কাছে চলে যায়। রাত এগারোটা নাগাদ রূপালিকে তার শাশুড়ি ফের নিজের বা়ড়ি নিয়ে যান। এর পরেই রূপালির চিৎকারে
পড়শিরা ছুটে এসে দেখেন, তার মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা ও কান দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। পড়শিরা দাবি করেছেন, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বোঝা যাচ্ছিল, রূপালির উপরে শারীরিক অত্যাচার হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন