সকালে তখনও রাস্তায় তেমন লোকজন নেই। দুই যুবককে পিঠে ব্যাগ নিয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটতে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত ট্র্যাফিক কনস্টেবলের। সন্দেহের বশেই তাদের পিছনে ধাওয়া করেন তিনি। ধরা পড়ে একজন। আর তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় সোনার গয়না, মোবাইল-সহ অনেক চোরাই মালপত্র। শনিবার সকালে এ ভাবেই চোর ধরলেন কলকাতা পুলিশের টালিগঞ্জ ট্র্যাফিক গার্ডের কনস্টেবল পরিমল বাউড়ি। পরে বিশ্বনাথ নায়েক নামে ওই যুবককে টালিগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন কালীঘাট ট্রামডিপোর সামনে ডিউটি করছিলেন পরিমলবাবু। দেখেন, কালীঘাট টেম্পল রোডের দিক থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড ধরে রাসবিহারী মোড়ের দিকে ছুটছে দুই যুবক। পরনে মলিন জামা প্যান্ট, পিঠে স্কুলব্যাগ। সিগন্যাল না মেনে কেন তারা ছুটছে, কেউই বুঝতে পারছিলেন না। হঠাৎ পরিমলবাবু দেখেন বেশ খানিকটা দূরে কয়েকজন লোক ‘ধর-ধর’ বলে চিৎকার করছেন। তিনি ওই দুই যুবককে তাড়া করেন। বেশ খানিকটা গিয়ে বিশ্বনাথকে ধরে ফেলেন। তার সঙ্গী অবশ্য পালিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, আলিপুর ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের বাইরের বস্তিতে থাকে বিশ্বনাথ। তার ব্যাগ থেকে একটি মোবাইল, তিনটি সোনার হার, কানের দুল, কম্পিউটারের সরঞ্জাম, প্লাস্টিকের লক্ষ্মীর ভাঁড় মিলেছে। পুলিশের অনুমান কোনও জায়গা থেকে চুরি করে এসে আবার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল দু’জন।