যৌনকর্মী-খুনে অভিযুক্ত অধরাই

তরুণীর খোয়া যাওয়া মোবাইলটিরও খোঁজ মেলেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, বড়তলা থানা ও গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা যৌথ ভাবে ওই খুনের তদন্তে নেমেছে। এই ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন নিহতের পরিচিত এক যুবক। বাবলু নামে ওই ফল বিক্রেতার খোঁজ এখনও মেলেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৭ ০১:২৮
Share:

সোনাগাছির যৌনকর্মী খুনের পরে দশ দিন কেটে গেলেও অভিযুক্তের নাগাল পেল না পুলিশ। তরুণীর খোয়া যাওয়া মোবাইলটিরও খোঁজ মেলেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, বড়তলা থানা ও গোয়েন্দা বিভাগের হোমিসাইড শাখা যৌথ ভাবে ওই খুনের তদন্তে নেমেছে। এই ঘটনায় মূল সন্দেহভাজন নিহতের পরিচিত এক যুবক। বাবলু নামে ওই ফল বিক্রেতার খোঁজ এখনও মেলেনি।

Advertisement

শহরে ঘটে যাওয়া একাধিক বড় মাপের খুনের কিনারা করার ক্ষেত্রে হোমিসাই়ড শাখার সুনাম রয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করার পরেও তাকে ধরতে না পারায় সেই সুনাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের অন্দরে। যদিও কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ কর্তার বক্তব্য, ‘‘তদন্ত চলছে। সময় লাগলেও অপরাধী ঠিকই ধরা প়ড়বে।’’

১ জুন সকালে দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিটের একটি বাড়ির ছাদের ঘরে এক তরুণী যৌনকর্মীর দেহ মেলে। পুলিশ জানায়, তাঁর গলায় ধারালো অস্ত্রের তিনটি কোপ ছিল। দেহ উদ্ধারের অন্তত ৩৬ ঘণ্টা আগে ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। লালবাজার সূত্রের খবর, ৩০ মে রাতে ওই তরুণীর ঘর থেকে তাঁর ও বাবলুর কথা কাটাকাটি শোনা গিয়েছিল। তার পর থেকেই তরুণীকে আর দেখা যায়নি। ঘটনার পর থেকে বাবলুও আর ওই এলাকায় আসেনি।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ১ জুন সকালে দুর্গাচরণ মিত্র স্ট্রিটের ওই বাড়ির মালিকের কাছে ফোন করে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি খুনের কথা জানান। সেই ফোন বাবলুই করেছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। ওই ফোনের সূত্র ধরেও তার খোঁজ মেলেনি। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, বাবলু আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা। ঘটনার পরেই সে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। এই শহরে তার বিভিন্ন ডেরার উপরেও নজর রাখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement