থানার হাজতে অভিযুক্তদের ফোঁটা দিলেন মহিলা পুলিশ

ট্যাংরা থানার মহিলা কনস্টেবলদের কাছ থেকে চন্দনের ফোঁটা পেলেন তিন অভিযুক্ত। কেবল ওঁরাই পেলেন না। থানার সামনে দিয়ে যাতায়াতকারী অটোরিকশাচালক, রিকশাচালক ও পথচারীদেরও এ দিন ফোঁটা দিয়েছেন ওই কনস্টেবলেরা। মিষ্টিমুখও করানো হয়েছে সকলকে।

Advertisement

কলকাতা

নিজস্ব সংবাদদাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৪১
Share:

হাজতে অভিযুক্তকে ভাইফোঁটা মহিলা কনস্টেবলের। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

কেউ মারধর করে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ধরা পড়ে পুলিশি হেফাজতে, কেউ আবার বাঁশ দিয়ে পেটানোর ঘটনায় ধরা পড়ে থানার হাজতে। তবু ভাই ফোঁটার দিন বলে কথা। গারদবন্দি থেকেই মঙ্গলবার সকালে

Advertisement

ট্যাংরা থানার মহিলা কনস্টেবলদের কাছ থেকে চন্দনের ফোঁটা পেলেন তিন অভিযুক্ত। কেবল ওঁরাই পেলেন না। থানার সামনে দিয়ে যাতায়াতকারী অটোরিকশাচালক, রিকশাচালক ও পথচারীদেরও এ দিন ফোঁটা দিয়েছেন ওই কনস্টেবলেরা। মিষ্টিমুখও করানো হয়েছে সকলকে।

পুলিশ জানায়, পুজোর সময়ে নেশা করে কুন্দন যাদব নামে এক যুবককে বেধড়ক পিটিয়ে খুনের চেষ্টা করেছিলেন রিকি হেলা ও ভিকি খটিক নামে দু’জন। কুন্দন এখনও নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। ওই ঘটনার পরে রিকি ও ভিকি পালিয়ে গিয়েছিলেন। ২৩ অক্টোবর তাঁরা ধরা পড়েন। পরের দিন দু’জনকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হলে

Advertisement

বিচারক তাঁদের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এখন দু’জনকেই জেরা করা হচ্ছে। জেরা শেষে রাখা হচ্ছে থানার গারদে।

অন্য অভিযুক্তের নাম মহম্মদ আনসারুল। স্থানীয় ধোবিয়াতলা ক্যাম্পে সোমবার রাতে এক ব্যক্তিকে তিনি বাঁশ দিয়ে পেটান বলে অভিযোগে। ওই রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে হাজতে পোরা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ মহিলা কনস্টেবলেরা একে একে গারদের ফাঁক দিয়ে হাত গলিয়ে ওই তিন জনের কপালেই চন্দনের ফোঁটা দেন। মিষ্টিমুখও করানো হয় তিন জনকে। মঙ্গলবার আনসারুলকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।হঠাৎ অভিযুক্তদের ফোঁটা দেওয়ার ভাবনা কেন?

একটি সূত্র জানিয়েছে, যে কোনও বন্দিকে সংশোধনের সুযোগ দিতে হয়। ফোঁটা দিয়ে তিন অভিযুক্তকে মনে করিয়ে দেওয়া হল, তাঁরা যেন নিজেদের সংশোধন করার চেষ্টা করেন।

এ দিন কেবল মিষ্টিই নয়, পুলিশি হেফাজতে থাকার সময়ে দুপুরে অভিযুক্তদের কপালে জোটে ভাত বা রুটি, ডাল আর একটি তরকারি। এ দিন সেই মেনুও বদলে দিয়েছেন থানার কর্মীরা। থানার মেসে এ দিনের মেনু ছিল ভাত, ডাল, ভাজা, তরকারি ও মুরগির মাংস। সেই মেনুই গারদে বসে খেয়েছেন তিন জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন