ক্যাবের নথি দেখতে চেয়ে ‘প্রহৃত’ সার্জেন্ট

শ্যামপুকুর থানা এলাকার যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউতে সোমবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

ফের শহরে নিগৃহীত পুলিশ।

Advertisement

সিগন্যাল ভাঙার অভিযোগ ছিল অ্যাপ-ক্যাব চালকের বিরুদ্ধে। সেই চালকের থেকে গাড়ির কাগজপত্র-সহ অন্যান্য নথি দেখতে চেয়েছিলেন ট্র্যাফিক সার্জেন্ট। অভিযোগ, কাগজপত্র দেখানো তো দূর, উল্টে সেই সার্জেন্টকে ধাক্কা মারেন ওই ক্যাবচালক। এমনকি সার্জেন্টের উর্দি ধরেও সেই চালক টানাটানি করেন বলেও অভিযোগ। ওমপ্রকাশ মিশ্র নামে ওই ক্যাবচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে তাঁর অ্যাপ ক্যাবটিও।

শ্যামপুকুর থানা এলাকার যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউতে সোমবার দুপুরে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে

Advertisement

খবর, সোমবারের ওই ঘটনাটি নিয়ে গত মার্চ মাস থেকে বারোটির মতো ঘটনা এমন ঘটল কলকাতায়। যেখানে হয় পুলিশকে মারধর করা হয়েছে। না হয় অন্য ভাবে নিগ্রহ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ যতীন্দ্র মোহন অ্যাভিনিউতে ডিউটি

করছিলেন জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট জিতেন চক্রবর্তী। তিনি দেখেন একটি অ্যাপ ক্যাব গিরিশ পার্কের দিক থেকে সিগন্যাল অমান্য করে শ্যামবাজারের দিকে যাচ্ছে। জিতেনবাবু গাড়িটিকে থামিয়ে চালক ওমপ্রকাশের কাছে গাড়ির নথি এবং লাইসেন্স দেখতে চান। অভিযোগ, চালক প্রথমেই ওই অফিসারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা শুরু করেন। এক

তদন্তকারী জানান, অভিযুক্ত চালক পুলিশের অফিসারের সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। বচসার মাঝেই তিনি অফিসারের উর্দি ধরে টানাটানি করা শুরু করেন। সেই সঙ্গে জিতেনবাবুকে ওই চালক ধাক্কা মারেন বলেও অভিযোগ।

যদিও ওই ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে অন্য পুলিশকর্মীরা

সেখানে পৌঁছন। এবং ক্যাবচালকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শ্যামপুকুর থানায় চালকের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দান করার অভিযোগ দায়ের করেন ওই পুলিশ অফিসার। যার ভিত্তিতে ওই অভিযুক্ত চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ওই চালককে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে এক দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ ওই আটক করেছে।

উল্লেখ্য মাস খানেক আগে চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিতরে আক্রান্ত হতে

হয়েছিল পুলিশকর্মীদের। বেনিয়াপুকুর এবং পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকায় পুলিশকর্মীদের মারধর করে আসামী ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছিল। এর পরেই তৎকালীন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা নির্দেশ দিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হলে কঠোর ধারায় মামলা দায়ের করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। কলকাতা পুলিশ সেই নির্দেশ মেনে কাজ করলেও বেপরোয়া লোকজন এখনও তা থেকে যে শিক্ষা নিচ্ছে না, সোমবারের ঘটনা তারই

নজির রাখল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন