স্ত্রী অনিন্দিতার সঙ্গে মৃত আইনজীবী রজত দে।—ফাইল চিত্র।
অবশেষে নিউ টাউনের আইনজীবী রজত দে-র মৃত্যুর ঘটনার পুনর্গঠন করল বিধাননগর পুলিশ। শনিবার দুপুরে ওই প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ নিশ্চিত যে, বিছানার চাদর আর মোবাইলের চার্জার ব্যবহার করেই রজতকে খুন করা হয়েছিল। এমনটাই দাবি পুলিশের এক সূত্রের।
রজতকে খুনের অভিযোগে গত ১ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতাকে। বারাসত আদালতে অনিন্দিতার প্রথমে আট দিনের এবং তার পরে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।
দ্বিতীয় বারের পুলিশি হেফাজতের শেষে আজ, রবিবার অনিন্দিতাকে আদালতে তোলা হবে। তার আগে শনিবার পুনর্গঠনের কাজ শেষ হওয়ার পরে তাঁর আইনজীবী চন্দ্রশেখর বাগের অভিযোগ, ওই প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেনি পুলিশ। তাঁর মক্কেলকে সোফায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। যদিও পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন অনিন্দিতাকে নিয়ে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ার ছবি তুলে রাখা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যা বলার আদালতে বলা হবে।’’
আরও পড়ুন: দেড় মাসেও মেলেনি দোকান, বাড়ছে ক্ষোভ
পুলিশ সূত্রের খবর, পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় রজতের মৃত্যুর সময়কার ঘটনা পরম্পরা সম্পর্কে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার রাতে রজত আর অনিন্দিতা আলাদা ঘরে ছিলেন। রজত একটি ঘরের বিছানায় বসেছিলেন। পাশের ঘর থেকে ওই ঘরে যান অনিন্দিতা। খুনের জন্য বিছানার চাদর ও মোবাইলের চার্জার ব্যবহার করা হয় বলে পুলিশ মোটামুটি নিশ্চিত। পুলিশের অনুমান, ঘটনার সময়ে রজত পড়ে যাওয়ায় তাঁর মাথা ও দু’হাতের কনুইয়ে আঘাত লাগে।
আরও পড়ুন: অভিযুক্তকে ধরতে বিহার যেতে পারে পুলিশ
সূত্রের খবর, রজতের খুন পূর্ব-পরিকল্পিত বলেই অনুমান পুলিশের। অনিন্দিতা যে অপরাধের নানা কৌশল সম্পর্কে খোঁজখবর রাখছিলেন, তেমন কিছু তথ্যও পেয়েছে পুলিশ। তবে তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে আইনজীবীর মৃত্যুর আগে ফেসবুকে অনিন্দিতা প্রেমিকের হত্যা সম্পর্কিত একটি ছবি ও লেখা পোস্ট করেছিলেন।