পুলিশের তদ্বির, ভর্তি রুগ্‌ণ শিশু

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত এক মাসের শিশুকে নিয়ে গভীর রাতে শহরে এক সরকারি হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রেফার হয়ে ছুটে বেড়ালেন দিশেহারা বাবা-মা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭ ০১:১৯
Share:

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত এক মাসের শিশুকে নিয়ে গভীর রাতে শহরে এক সরকারি হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে রেফার হয়ে ছুটে বেড়ালেন দিশেহারা বাবা-মা। শেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত দু’টোর সময়ে হাসপাতালে ভর্তি করা গেল শিশুকে। মুখ্যমন্ত্রী যখন বারবার হাসপাতালগুলিকে মানবিক হতে বলছেন, গুরুতর অসুস্থকে প্রত্যাখ্যান না করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তখনও হাসপাতালের এই আচরণে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা।

Advertisement

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে এনআরএস শুক্রবার রেফার করা হয় শিশুটিকে। অভিযোগ, রাত আটটা নাগাদ এনআরএস ওই শিশুকে ভর্তি না করে পিজি-তে রেফার করে। বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা ওই শিশুর মা সালেমা খাতুনের অভিযোগ, ‘‘নীলরতন থেকে এসএসকেএমে ছুটি। তারা আবার নীলরতনে ফেরত পাঠায়। বাচ্চাটা আমার নেতিয়ে পড়ছিল। শেষে আমরা লালবাজারে যাই। তার পরে এন্টালি থানার পুলিশ এসে রাত দু’টো নাগাদ আমার বাচ্চাকে এনআরএসে ভর্তি করায়।’’

তবে যাঁরা পুলিশকে ধরতে পারবে না, তারা কি ভর্তি হতে পারবে না? প্রশ্ন তুলছেন শিশুটির অভিভাবকেরা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী এ বিষয়ে বলেন, ‘‘শুনেছি। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কোনও গাফিলতি বরদাস্ত
হবে না।’’

Advertisement

শিশুটির বাবা নূর হোসেন বলেন, ‘‘জন্ম থেকে আমার শিশুটির হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা ছিল। নলহাটিতে দেখানোর পরে ওখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে বদলি করে। তারা বলে, অপারেশনের জন্য নীলরতনে যেতে হবে।’’ কেন বর্ধমানের মতো একটি নামী মেডিক্যাল কলেজ অসুস্থ শিশুকে অন্যত্র রেফার করবে, উঠেছে সেই প্রশ্নও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement