অনিন্দিতা ও রজত।
বারো দিন পরেও আইনজীবী রজত দে-র মৃত্যু পুলিশের কাছে রহস্যই থেকে গেল। রহস্যভেদের জন্য বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর পাওয়া দরকার। বেশ কিছু ধন্দও কাটা দরকার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনাকে সব দিক থেকে বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে।
সেই রাতে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে কী ঘটেছিল, সেই ঘটনাক্রম নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুখ খোলেনি পুলিশ। শুধু খুনের মামলাই রুজু হয়েছে। পুলিশের দাবি, ঘটনার সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন অনিন্দিতা। যদিও তাঁর আইনজীবী চন্দ্রশেখর বাগের দাবি, তাঁর মক্কেল এমন স্বীকারোক্তি দেননি। এমনকি, ওই ঘটনায় তৃতীয় কোনও ব্যক্তি জড়িত ছিল বলে জোর করে অনিন্দিতার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সরকারি আইনজীবী অবশ্য বলছেন, তাঁরা যা বলার আদালতে বলবেন।
অনিন্দিতা প্রথমে ঘটনাটিকে অসুস্থতাজনিত মৃত্যু বলে দাবি করেছিলেন। পরে পুলিশি জেরায় জানান, রজত আত্মহত্যা করেছেন। তারও পরে দাবি করেন, সাময়িক উত্তেজনার বশে ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে। অনিন্দিতার এই ‘পরিবর্তনশীল’ বয়ান অনুয়ায়ী ঘটনাক্রমও বারবার নতুন করে সাজাতে হচ্ছে পুলিশকে। সূত্রের খবর, সেখানেই দু’রকম ধারণা উঠে এসেছে। পুলিশের একাংশের অনুমান, যা-ই ঘটে থাক, তা ঘটেছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। তৃতীয় কেউ সেখানে ছিল না। অন্য অংশের আবার বক্তব্য, তৃতীয় ব্যক্তি ছাড়া এই ঘটনা ঘটানো প্রায় অসম্ভব। পুলিশ অবশ্য এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে।
তবে পুলিশ সূত্রের খবর, বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে তবেই ঘটনার পুনর্নির্মাণের পথে হাঁটতে চাইছে তারা।