বেপরোয়া অটো রুখে প্রহৃত পুলিশ

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে সিঁথি থানা এলাকার কালীচরণ ঘোষ রোডে। জখম পুলিশ অফিসারের নাম বিকাশ চৌধুরী। তিনি সিঁথি থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩৭
Share:

অটোর দাপট চলছেই। ছবি: সংগৃহীত।

একপাশ দিয়ে বিসর্জনে চলেছে শোভাযাত্রা-সহ কালী প্রতিমা। অন্য দিকে, ঘিঞ্জি রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন দুই পুলিশকর্মী। কয়েক হাত দূরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক পুলিশ অফিসার দেখলেন, যাত্রিবোঝাই একটি অটো বেপরোয়া গতিতে আইন ভেঙে চলেছে। তিনি অটোটি থামালে চালক বচসা শুরু করেন। অভিযোগ, পুলিশ অফিসারকে ধাক্কা মারেন ওই চালক। তবুও অটোটি ছাড়েননি তিনি। চালক তখন অটো চালিয়ে দিলে বেশ কিছুটা রাস্তা হিঁচড়ে যান ওই অফিসার। অন্য পুলিশকর্মীর থেকে খবর পেয়ে থানা থেকে অতিরিক্ত বাহিনী গিয়ে উদ্ধার করে আহত অফিসারকে।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে সিঁথি থানা এলাকার কালীচরণ ঘোষ রোডে। জখম পুলিশ অফিসারের নাম বিকাশ চৌধুরী। তিনি সিঁথি থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর। পায়ে এবং বুকে আঘাত পেয়েছেন তিনি। তবে আঘাত গুরুতর নয় বলে জানাচ্ছে পুলিশ।

লালবাজার সূত্রে খবর, ঘটনার পরে অভিযুক্ত অটোচালক পালিয়ে গেলেও পরে তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃতের নাম কুমার সৌভিক চৌধুরী। অভিযুক্তকে শনিবার শিয়ালদহ আদালতে তোলা হয়। সরকারি কৌঁসুলি মৃন্ময় মিত্র জানান, পুলিশকে মারধর এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অভিযোগে ধৃতকে এ দিন আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে চোদ্দ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

কালীপুজো ও দীপাবলির দু’দিনে শহরে চারটি জায়গায় আক্রান্ত হয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। এর মধ্যে সিঁথি থানা এলাকাতেই বুধবার রাতে বাজি ফাটানো আটকাতে গিয়ে পুলিশকর্মীদের মার খেতে হয়েছিল। সেই ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতারও করা হয়। তার দু’দিনের মধ্যেই অটোচালকের হাতে প্রহৃত হতে হলেন একই থানার অন্য পুলিশ অফিসার।

পুলিশ জানিয়েছে, কালীচরণ ঘোষ রোডে বিসর্জনের শোভাযাত্রার জন্য অন্যান্য গাড়ির গতি ছিল খুব কম। ওই রাস্তায় যাতে গাড়ির গতি স্তব্ধ না হয়, সে জন্য সিঁথি থানার তরফে বিকাশ চৌধুরী-সহ দু’জন পুলিশ মোতায়ন ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, ঘিঞ্জি ওই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এ কথা মাথায় রেখেই সিঁথি মোড়-দমদম স্টেশন রুটের ওই অটোটিকে আটকান বিকাশবাবু। এ নিয়ে তর্ক জুড়ে দেন শৌভিক। অভিযোগ, পুলিশ নথি চাইলেও দেখাতে চাননি চালক। উল্টে তিনি ধস্তাধস্তি শুরু করেন পুলিশের সঙ্গে এবং অটোটিও চালিয়ে দেন। অটোর হাতল ধরে থাকায় কয়েক মিটার রাস্তা হিঁচড়ে যান ওই অফিসার। পরে পুলিশ অফিসারকে ফেলেই যাত্রী নিয়ে পালিয়ে যান অটোচালক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন