মায়ের সঙ্গে উত্তরা চৌধুরী।
সন্ধ্যা নাগাদ মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিলেন কিশোরীটি। তার পর থেকেই কেমন যেন গুম মেরে গিয়েছিলেন। কারও সঙ্গে খুব একটা কথাবার্তাও বলছিলেন না। কিন্তু, তার পরেই তিনি যে এমন সাঙ্ঘাতিক একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবেন কেউ বুঝতে পারেনি।
মায়ের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার কয়ের ঘণ্টার মধ্যেই ঘর থেকে তারও নিথর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল তাঁর দেহটা। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলা থানা এলাকার চৌবাগা রোডে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কিশোরীর নাম উত্তরা চৌধুরী ওরফে জুয়েল (১৯)। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। স্থানীয়েরা জানান, মা-বাবার একমাত্র সন্তান জুয়েল। ২০১৪ সালে বাবাকে হারায় সে। ভাই-বোন না থাকায় বাবার মৃত্যুর পর মা-ই হয়ে উঠেছিলেন তার বাঁচার একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু, কয়েক দিন ধরে মায়ের শরীরও ভাল যাচ্ছিল না। মধ্য কলকাতার এক নামী হাসপাতালে মায়ের চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি। মায়ের মৃত্যুসংবাদ মেনে নিতে পারেননি জুয়েল। সন্ধ্যায় ওই খবর পাওয়ার পর থেকেই ভীষণ চুপচাপ হয়ে পড়েছিলেন। আর তার পরই এই ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘরের ভিতর গলায় একটা গোলাপি রঙের চুড়িদারের ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিলেন ওই তরুণী। তাঁকে উদ্ধার করে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তত ক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লির রাস্তায় মহিলাকে মার, ছেঁড়া হল পোশাক, ছবি তুললেন পথচারীরা